E-Paper

টাইফয়েডে আক্রান্ত হয়ে মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ, সাত দিন পর কোমা থেকে ফিরল বালক

গত ২৫ জানুয়ারি থেকে হাওড়ার বাসিন্দা ময়ূখ নস্করের তীব্র জ্বর আসে। পাঁচ দিনেও জ্বর না কমায় তাকে শহরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২২ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ০৫:৫৯
A Photograph of a hospital

কোমায় চলে গিয়েছিল দশ বছরের বালক। দিন সাতেক ভেন্টিলেশনে থাকার পরে আপাতত সে সুস্থ। প্রতীকী ছবি।

টাইফয়েডে আক্রান্ত হয়ে মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ হয়েছিল। যার জেরে কোমায় চলে গিয়েছিল দশ বছরের বালক। দিন সাতেক ভেন্টিলেশনে থাকার পরে আপাতত সে সুস্থ। চিকিৎসকেরা জানাচ্ছেন, ওই বালক ‘টাইফয়েড এনসেফ্যালোপ্যাথি’-তে আক্রান্ত হয়েছিল। তাঁদের কথায়, “সাধারণ টাইফয়েডও যে ভয়াবহ হয়ে উঠতে পারে, এটা তারই প্রমাণ।”

গত ২৫ জানুয়ারি থেকে হাওড়ার বাসিন্দা ময়ূখ নস্করের তীব্র জ্বর আসে। পাঁচ দিনেও জ্বর না কমায় তাকে শহরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। সেখানে তিন দিনের মাথায় আচমকাই ময়ূখের খিঁচুনি শুরু হয়। প্রায় এক ঘণ্টা ধরে ওই অবস্থা চলার ফলে জ্ঞান হারায় ময়ূখ। তড়িঘড়ি তাকে আলিপুরের এক বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। সেখানকার শিশুরোগ চিকিৎসক শান্তনু রায় বলেন, “অবস্থা সঙ্কটজনক হওয়ায় ওকে ভেন্টিলেশন দিতে হয়। এমআরআইতে দেখা যায়, মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ হয়ে কোমায় চলে গিয়েছে।”

সিএমআরআই-এর চিকিৎসকেরা জানাচ্ছেন, ওই বালকের ক্ষেত্রে গ্লাসগো কোমা স্কেলের (রোগী কোমার কোন স্তরে, তার মাপকাঠি) মাত্রা ছিল ৪-৫। যকৃৎ ও অন্যান্য অঙ্গপ্রত্যঙ্গও বিকল হচ্ছিল। অ্যান্টিবায়োটিক শুরুর দিন সাতেক পরে দেখা যায়, ময়ূখের হাতের আঙুল নড়ছে। বার বার সিটি স্ক্যান করে দেখা যায়, জমাট বাঁধা রক্তের পরিমাণও কমছে। এখন রোজ হাসপাতালে হাঁটছে পঞ্চম শ্রেণির ওই পড়ুয়া। শান্তনুর কথায়, “টাইফয়েড এনসেফ্যালোপ্যাথির সময়ে ঠিক চিকিৎসা না হলেই বিপদ। এ বার ময়ূখকে ছুটি দেওয়া হবে।”

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

Typhoid Coma

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy