Advertisement
০১ মে ২০২৪

উড়ালপুল খুলেই রাস্তা সারাইয়ের নির্দেশ

সেতুর নীচের বেহাল রাস্তা নিয়ে স্থানীয়দের ক্ষোভ পৌঁছেছে মুখ্যমন্ত্রীর কানেও। তাই শুক্রবার রিমোট কন্ট্রোলে জিঞ্জিরাবাজার উড়ালপুলের উদ্বোধন করার সময়ে অবিলম্বে ওই রাস্তা সারাই করতে আধিকারিকদের নির্দেশ দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। 

নতুন: উদ্বোধনের পরে জিঞ্জিরাবাজার উড়ালপুল। শুক্রবার। ছবি: অরুণ লোধ

নতুন: উদ্বোধনের পরে জিঞ্জিরাবাজার উড়ালপুল। শুক্রবার। ছবি: অরুণ লোধ

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ১২ জানুয়ারি ২০১৯ ০০:০০
Share: Save:

সেতুর নীচের বেহাল রাস্তা নিয়ে স্থানীয়দের ক্ষোভ পৌঁছেছে মুখ্যমন্ত্রীর কানেও। তাই শুক্রবার রিমোট কন্ট্রোলে জিঞ্জিরাবাজার উড়ালপুলের উদ্বোধন করার সময়ে অবিলম্বে ওই রাস্তা সারাই করতে আধিকারিকদের নির্দেশ দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

জিঞ্জিরাবাজার থেকে বাটানগর পর্যন্ত তৈরি হওয়া নতুন ‘সম্প্রীতি’ সেতুর নীচেই রয়েছে প্রায় সাত কিলোমিটার লম্বা বজবজ ট্রাঙ্ক রোডের বেশ কিছুটা অংশ। এ দিন উট্রাম ঘাটের কাছে গঙ্গাসাগর মেলা প্রাঙ্গণ থেকে সেতুটির উদ্বোধন করে মুখ্যমন্ত্রী আধিকারিকদের উদ্দেশে বলেন, ‘‘সেতুর নীচে রাস্তার খারাপ অবস্থার খবর আমি পেয়েছি। নির্মাণকারী সংস্থাকে বল, চুক্তি অনুযায়ী এ বার রাস্তাটাও করে দিতে।’’ বেহাল রাস্তা নিয়ে এ দিন ক্ষোভ প্রকাশ করেন রাজ্যের পুর ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম এবং সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ও। বাটানগর মোড়ে সেতুর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ফিরহাদ। তিনি বলেন, ‘‘নির্মাণ সংস্থা এবং সরকারি সংস্থার আধিকারিকেরা বিভিন্ন আইন দেখিয়ে কাজ করছেন না। মানুষের সমস্যা হচ্ছে।’’ তাঁর অভিযোগ, ‘‘মানুষ এর জন্য স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদেরই দায়ী করেন। কিন্তু আমি কেএমডিএ-র অফিসার ও নির্মাণকারী সংস্থাকে দ্রুত রাস্তা সারাতে বলেছি।’’ সূত্রের খবর, ওই রাস্তাটি প্রথমে ছিল পূর্ত দফতরের। পরে উড়ালপুলটি কেএমডিএ এবং অন্য একটি নির্মাণকারী সংস্থা যৌথ ভাবে তৈরি করেছে। শর্ত অনুযায়ী ওই সংস্থারই উড়ালপুলের নীচের রাস্তা মেরামতি ও রক্ষণাবেক্ষণ করার কথা।

বেহাল রাস্তা নিয়ে ক্ষুব্ধ সাংসদ অভিষেক বলেন, ‘‘আগামী কাল থেকেই রাস্তা সারাই শুরু হবে। এক মাসের মধ্যে কাজ শেষ হবে। যত ক্ষণ পর্যন্ত কাজ শেষ না হচ্ছে, ততক্ষণ সবার কষ্ট আমি ভাগ করে নেব। কাজ শেষ না হওয়া পর্যন্ত আমি উড়ালপুল দিয়ে যাতায়াত করব না।’’ এ দিন ওই বেহাল রাস্তা দিয়েই অনুষ্ঠানের জায়গায় আসেন অভিষেক ও ফিরহাদ।

স্থানীয়েরা জানান, যাঁরা উড়ালপুলের মাঝামাঝি জায়গায় থাকেন তাঁদের সমস্যা বেশি। উড়ালপুল ব্যবহার করতে হলে তাঁদের অনেকটা রাস্তা ঘুরতে হবে। ফলে উড়ালপুলের নীচের ওই রাস্তাই তাঁদের ভরসা। এই মুহূর্তে পথচারীদেরও রাস্তায় বেরিয়ে সমস্যায় পড়তে হচ্ছে। বেহাল রাস্তায় গাড়ির গতি কমে গিয়ে যানজট হচ্ছে। স্থানীয় বিধায়ক দুলাল দাস বলেন, ‘‘রাস্তা ঠিক হয়ে গেলে সেতুর নিচেও যানবাহনের গতি অনেক বে়ড়ে যাবে।’’ কার‌ণ নতুন সেতু পেরোতে সময় লাগবে মাত্র ১০ মিনিট। সেখানে নিচের বেহাল রাস্তায় যাতায়াতে কমপক্ষে ৪০ মিনিট সময় লাগছে।

মুখ্যমন্ত্রী জানান, নির্মাণকারী সংস্থা ৩০ বছর ধরে ওই উড়ালপুল থেকে টোল ট্যাক্স আদায় করে প্রকল্পের খরচ তুলে নেবে। কিন্তু এ দিন তিনি ঘোষণা করেন, ওই উড়ালপুল দিয়ে যাতায়াত করা দুই, চার চাকা এবং আনাজের গাড়ির ক্ষেত্রে কোনও কর দিতে হবে না। মুখ্যমন্ত্রী আরও জানান, শহরে আরও ৪টি উড়ালপুল তৈরির পরিকল্পনা হয়েছে। তিনি দাবি করেন, ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রোর কাজ শেষ হলে বৃহত্তর কলকাতায় পরিবহণ সমস্যা আরও কমে যাবে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE