ফের তারা এসেছে ফিরে!
উড়ো ফোনে ব্যাঙ্ক ম্যানেজার পরিচয় দিয়ে টাকা হাতিয়ে নেওয়ার ঘটনা শহরে নতুন নয়। কিন্তু নোট বাতিলের পরে সেই জালিয়াতেরা ক’দিন যেন দমে গিয়েছিল। পুলিশ সূত্রের খবর, অভিযোগের সংখ্যাও কমেছিল। কিন্তু ফের সক্রিয় হয়েছে ওই জালিয়াত চক্র।
সম্প্রতি এই চক্রের শিকার হন তালতলার বাসিন্দা রুনা দত্ত। একটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের তালতলা ও সালকিয়া শাখায় তাঁর অ্যাকাউন্ট রয়েছে। তিনি জানান, ব্যাঙ্কের ম্যানেজার পরিচয়ে এক ব্যক্তি তাঁকে ফোন করে ডেবিট কার্ড ব্লক হয়ে গিয়েছে বলে জানান। তা চালু করতে কার্ডের নম্বর চান। রুনাদেবী কার্ডের নম্বর ও ব্যাঙ্ক থেকে পাঠানো ‘ওয়ান টাইম পাসওয়ার্ড’ও (ওটিপি) জানান। তার পরেই দু’টি অ্যাকাউন্ট থেকে মোট ১ লক্ষ ২৮ হাজার টাকা উধাও হয়ে গিয়েছে বলে পুলিশকে জানান রুনাদেবী। ‘‘তবে পুরোটা জালিয়াতদের হাতে যাওয়ার আগে ২০ হাজার টাকা ফেরত পেয়েছি,’’ বলেন তিনি। পুলিশের দাবি, শুধু গত এক মাসে আরও কয়েক জন এমন জালিয়াতির শিকার হয়েছেন।
ফের এমন অপরাধ হলেও পুলিশ কিন্তু অপরাধীদের নাগাল পাচ্ছে না। রুনাদেবী ১৬ মার্চ অভিযোগ করলেও এখনও কেউ ধরা পড়েনি। অনেকেই বলছেন, ঝাড়খণ্ডের জামতাড়ায় এই জালিয়াতি চক্রের ঘাঁটি প্রথম ফাঁস করে ব্যাঙ্ক জালিয়াতি দমন শাখার গোয়েন্দারাই। কিন্তু গত ক’মাসে সেই শাখার ধার ও ভার কমেছে কি না, সে প্রশ্নও তুলেছেন তাঁরা। গোয়েন্দারা বলছেন, ভুয়ো নথি দিয়ে সিম কেনায় শুধু ফোনের সূত্রে জালিয়াতদের ধরা যায় না। এ ক্ষেত্রে তথ্য সংগ্রহ করতে হয়। না হলে ধৃত জামিন পেতে পারে। তাই গ্রেফতারে সময় লাগছে।
গোয়েন্দাদের একাংশ এ-ও বলছেন, ব্যাঙ্ক ও পুলিশের তরফে প্রচার চালালেও নাগরিকেরা ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট ও কার্ডের নিরাপত্তা নিয়ে সচেতন নন। উল্টে জালিয়াতেরা ফোন করলে তথ্য দিচ্ছেন। অপরাধ ঘটার পরে অভিযুক্তকে ধরা হলেও টাকা সব ক্ষেত্রে মেলে না। ‘‘অপরাধ ঠেকাতে নাগরিকদের সচেতনতাও জরুরি,’’ বলছেন এক পুলিশকর্তা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy