প্রতিবাদ: ঝাঁপ বন্ধ দোকানের। যানবাহন নেই পথে। নিজস্ব চিত্র
সোনারপুরে ডাকাতি ও খুনের ঘটনায় যে বাংলাদেশিরা অভিযুক্ত, তাদের বেশিরভাগই এখনও ধরা পড়েনি। পুলিশের দাবি, বাংলাদেশি ওই ডাকাতরা এখনও দেশের সীমান্ত টপকাতে পারেনি। অভিযুক্তদের স্কেচও আঁকানো হয়েছে।
রবিবার সন্ধ্যায় সোনারপুরে একটি গয়নার দোকানে হামলা চালায় একদল দুষ্কৃতী। লুট করতে এসে দোকানের মালিক দীপক দেবনাথকে রাস্তায় ফেলে কুপিয়ে খুন করা হয়। দুষ্কৃতীদের গুলিতে আহত হন পথচারী এক মহিলা ও দোকানের দুই কর্মী।
ডাকাতির ঘটনায় জড়িত সন্দেহে ওই রাতেই এক মহিলা-সহ তিন দুষ্কৃতীকে গ্রেফতার করে পুলিশ। ধৃতদের জেরায় পুলিশ জানতে পারে, বাংলাদেশের সাতক্ষীরার একটি দল ওই দোকানে হামলা চালায়। তাদের মধ্যে লাভলু সর্দার নামে এক বাংলাদেশি দুষ্কৃতীকে গ্রেফতারও করেছে পুলিশ।
প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ জেনেছে, অভিযুক্তরা এখনও সীমান্তবর্তী কোনও গ্রামে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আশ্রয় নিয়েছে। সিসিটিভি ফুটেজ থেকে দুষ্কৃতীদের যে ছবি আঁকানো হয়েছে, তা দক্ষিণ ও উত্তরবঙ্গে বাংলাদেশের সীমান্তবর্তী থানাগুলিতে পাঠানো হয়েছে। বারুইপুর জেলা পুলিশের এক কর্তার কথায়, ‘‘ধৃতদের জেরায় জানা গিয়েছে এরা মাঝেমধ্যে বাংলাদেশ থেকে এসে পর পর কয়েকটি ডাকাতি করে সীমান্ত পেরিয়ে পালায়।’’
পুলিশের বিরুদ্ধে নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগে তুলে এ দিনই সোনারপুর ও রাজপুর এলাকার ব্যবসায়ীরা বন্ধ পালন করেন। ওষুধের দোকান ও স্কুল-কলেজকে ওই বন্ধের আওতার বাইরে রাখা হয়েছিল। স্থানীয় ব্যবসায়ীরা এ দিন সোনারপুর থানার সামনে থেকে পুলিশি নিস্ক্রিয়তার প্রতিবাদে একটি মৌন মিছিল করেন। মিছিলে স্থানীয়েরাও যোগ দেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy