Advertisement
১৯ এপ্রিল ২০২৪

চুক্তি পুনর্নবীকরণ হয়নি, বিক্ষোভ কনস্টেবলদের

কেউ এসেছেন প্রৌঢ় বাবাকে সঙ্গে নিয়ে, কেউ আবার সঙ্গে করে নিয়ে এসেছেন চাকরির যাবতীয় প্রমাণপত্র। তাঁরা সকলেই কলকাতা পুলিশের কনস্টেবল। শুক্রবার সকালে কোনও রকম আভাস ছাড়াই হঠাত্ মিলেছে চাকরির মেয়াদ শেষের চিঠি।

বরখাস্ত কনস্টেবলদের প্রতিবাদ। শুক্রবার। —নিজস্ব চিত্র।

বরখাস্ত কনস্টেবলদের প্রতিবাদ। শুক্রবার। —নিজস্ব চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
শেষ আপডেট: ২৭ জুন ২০১৫ ০০:১৫
Share: Save:

কেউ এসেছেন প্রৌঢ় বাবাকে সঙ্গে নিয়ে, কেউ আবার সঙ্গে করে নিয়ে এসেছেন চাকরির যাবতীয় প্রমাণপত্র। তাঁরা সকলেই কলকাতা পুলিশের কনস্টেবল। শুক্রবার সকালে কোনও রকম আভাস ছাড়াই হঠাত্ মিলেছে চাকরির মেয়াদ শেষের চিঠি। তারই প্রতিবাদে বেঙ্গল হেড কোয়ার্টার্সের সামনে কলকাতা পুলিশের প্রায় একশো জন কনস্টেবল এ দিন এক বিক্ষোভে জমায়েত হয়েছিলেন। তাঁরা প্রত্যেকেই প্রাক্তন সেনাকর্মী।

চিঠিতে জানানো হয়েছে, চলতি মাসের পরে নতুন করে কোনও চুক্তি করা হবে না ওই কনস্টেবলদের। বিক্ষোভকারীদের অভিযোগ, এ ভাবে শুধুমাত্র চিঠি দিয়ে চাকরির চুক্তির পুনর্নবীকরণ না করার সিদ্ধান্ত নিতে পারে না সরকার। তাঁদের আরও দাবি, বরখাস্তের চিঠি প্রত্যেক কর্মচারীর নামে না পাঠিয়ে সার্বিকভাবে নোটিসের মতো করেই বা দেওয়ার কারণ কী। ২০১২ সালে রীতিমতো বিজ্ঞপ্তি জারি করে প্রাক্তন সেনাকর্মীদের কলকাতা পুলিশের কনস্টেবলের পদে চাকরিতে নেওয়া হয়। এমনকী, পুলিশ ট্রেনিং স্কুলে তাঁদের প্রশিক্ষণও দেওয়া হয়। তাই হঠাৎই এক সঙ্গে পাঁচশো জনকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করার পিছনে ঠিক কী কারণ, বুঝে উঠতে পারছেন না বিক্ষোভকারীরা কেউই। পরিবার ও আগামী জীবনের দুশ্চিন্তায় পড়েছেন প্রাক্তন সেনাকর্মীদের সকলেই। মে মাস থেকে মাইনে পাচ্ছেন না বলেও অভিযোগ করেন তাঁরা।

বিক্ষোভকারীরা জানান, তাঁরা প্রশাসনের সর্বস্তরে লিখিতভাবে বিষয়টি খতিয়ে দেখার আর্জি জানাবেন। রাজ্য সৈনিক বোর্ড এবং জেনারেল অফিসার কমান্ডিং-এর সঙ্গেও কথা বলবেন বিক্ষোভকারীরা। প্রধানমন্ত্রী, রাষ্ট্রপতি, প্রতিরক্ষামন্ত্রক, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের দফতর, পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল— সকলের কাছেই আজ, শনিবার লিখিত আবেদন জানাবেন তাঁরা। কলকাতা পুলিশের এক কর্তা এ দিন জানান, ‘‘যখন ওঁদের চাকরিতে নেওয়া হয়, তখন কলকাতা পুলিশের লোকের প্রয়োজন ছিল। এই মুহূর্তে তেমন প্রয়োজন আর নেই বলেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ওঁদের চাকরিও তো চুক্তি সাপেক্ষ ছিল।’’ এ ক্ষেত্রে চুক্তি কোথাও নতুন করে করার প্রতিশ্রুতিও তাঁদের দেওয়া হয়নি বলেও দেবাশিসবাবু জানান। লালবাজারের অন্য এক কর্তা জানান, ‘‘রাজ্য সৈনিক বোর্ড থেকেই ওঁদের চাকরিতে নেওয়া হয়, চুক্তি ঠিক হয়। এ বিষয়ে ওঁদের
যা বক্তব্য তা ওঁরা রাজ্য সৈনিক বোর্ডকেই জানান।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE