ঠাসাঠাসি: ব্রিগেড সমাবেশের দিন মেট্রো। ছবি: সুদীপ ঘোষ
ব্রিগেড সমাবেশের সপ্তাহে মেট্রোয় খোয়া গেল অতিরিক্ত তিন হাজার টোকেন। যার মূল্য ৭৫ হাজার টাকার কাছাকাছি।
মেট্রো সূত্রের খবর, প্রতিদিনই কিছু সংখ্যক টোকেন খোয়া যায়। তবে শহরে মিটিং, মিছিল বা উৎসবের সময়ে ওই সংখ্যা লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ে। মেট্রো সূত্রের খবর, নানা ভাবে দিনে প্রায় ৭০০-র কাছাকাছি টোকেন খোয়া যায়। টোকেন প্রতি মেট্রোর খরচ পড়ে গড়ে ২০ টাকা। মাসে সাড়ে তিন লক্ষ থেকে চার লক্ষ টাকার ক্ষতি হয় শুধু মাত্র হারানো টোকেনের জন্যই।
ব্রিগেডের আগের সপ্তাহে মেট্রোয় টোকেন খোয়া যাওয়ার সংখ্যা ছিল ৫০২২টি। গত শনিবারে শেষ হওয়া সপ্তাহে ওই সংখ্যা গিয়ে ঠেকেছে ৮৮২২-এ।
এক দিকে মেট্রোর লোগো আঁকা নীল, হলুদ বা কালো রঙের ওই টোকেন সংগ্রহ করে রাখার মতো আকর্ষণীয় কিছু না হওয়া সত্ত্বেও মেট্রোযাত্রীদের একাংশের মধ্য়ে এই প্রবণতা অব্যাহত। রেডিয়ো ফ্রিকোয়েন্সি আইডেন্টিফিকেশন প্রযুক্তিতে চলা ওই টোকেন অন্য কোনও কাজেও আসে না। কিন্ত তার পরেও যাত্রীদের মধ্যে টোকেন ফেরত না দেওয়ার প্রবণতা নিয়ে উদ্বিগ্ন মেট্রো কর্তৃপক্ষ। সম্প্রতি সফর শেষে টোকেন ফেরত দেওয়া নিয়ে সচেতনতা বাড়াতে ট্রেনের কামরার অডিয়ো সিস্টেমে প্রচারও শুরু করেছেন কর্তৃপক্ষ। তবে তাতে ইতিবাচক ফল তেমন মেলেনি।
কী ভাবে খোয়া যাচ্ছে মেট্রোর টোকেন ?
মেট্রো সূত্রের খবর, মূলত ভিড়ের মধ্যে নানা ভাবে টোকেন হারানোর ঘটনা ঘটে। যাত্রা শেষে স্টেশন থেকে বেরোনোর সময়ে মেট্রোর স্বয়ংক্রিয় গেট কোনও কারণে বিকল থাকলে মেট্রোর কর্মীরা পাশের রেলিংয়ের গেট খুলে দিয়ে কার্ডবোর্ডের বাক্সে টোকেন সংগ্রহ করেন। অনেক যাত্রী ওই সময়ে মেট্রোকর্মীদের চোখ এড়িয়ে টোকেন নিয়ে চলে যান। মেট্রোর স্বয়ংক্রিয় গেট টোকেনের সঙ্কেত পড়তে সময় নেয়। কখনও কখনও পড়তে সমস্যাও হয়। তার মধ্যেই একাধিক যাত্রী পর পর টোকেন ছোঁয়াতে থাকলে আচমকা দরজা খুলে যেতে পারে। তখন দেখা যায়, এক জন যাত্রীর পিছুপিছু দু’-তিন জন বেরিয়ে গেলেন। স্টেশনে কর্তব্যরত মেট্রো কর্মীদের পক্ষেও সব সময়ে পরিস্থিতি নজরে রাখা সম্ভব হয় না। পাশাপাশি, সঙ্গে থাকা শিশুর জন্য টোকেন কিনে অনেকেই শিশুকে কোলে করে গেটে নিজের টোকেন ছুঁইয়ে বেরিয়ে আসেন। কিন্ত শিশুর জন্য কেনা টোকেন জমা দেন না। এ ভাবেও মেট্রোয় টোকেন খোয়া যায়।
মেট্রো রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক ইন্দ্রাণী বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, বিষয়টি নিয়ে যাত্রীদের সচেতন করতে নানা ভাবে চেষ্টা চালানো হচ্ছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy