Advertisement
E-Paper

ছ’টি কুকুরের মৃত্যুতে খুনের অভিযোগ দায়ের

তবে পোষ্যদের ওই অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনায় তাঁর কয়েক জন ভাড়াটে-সহ ন’জন জড়িত রয়েছেন বলে পুলিশে অভিযোগ দায়ের করলেন বাঁশদ্রোণীর বাসিন্দা মালিকা সরকার।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৫ নভেম্বর ২০১৯ ০১:১৯
টিন ও বাঁশের ছাউনির একটি ঘরে উদ্ধার হয় দেহগুলি। নিজস্ব চিত্র

টিন ও বাঁশের ছাউনির একটি ঘরে উদ্ধার হয় দেহগুলি। নিজস্ব চিত্র

শর্ট সার্কিট থেকে আগুন ধরেছিল বাজার লাগোয়া বাড়িতে। মঙ্গলবার রাতে নেতাজি নগর থানার বাঁশদ্রোণী এলাকার ওই ঘটনায় দমকল, পুলিশ, সিইএসসি-র কর্মীরা গিয়ে সামলেছিলেন পরিস্থিতি। তখন কারওরই মনে পড়েনি বাজারের পিছনের ঘরে থাকা ছ’টি কুকুরের কথা। রাতে জানা গেল, টিন ও বাঁশের ছাউনির অস্থায়ী ঘরে মৃত অবস্থায় পড়ে রয়েছে ওই কুকুরগুলি।

তবে পোষ্যদের ওই অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনায় তাঁর কয়েক জন ভাড়াটে-সহ ন’জন জড়িত রয়েছেন বলে পুলিশে অভিযোগ দায়ের করলেন বাঁশদ্রোণীর বাসিন্দা মালিকা সরকার। তাঁর দাবি, ‘‘পরিকল্পিত ভাবে কুকুরগুলিকে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট করে মেরে ফেলা হয়েছে। অভিযুক্তদের কড়া শাস্তি দেওয়া হোক।’’ বুধবার অভিযোগ পেয়ে পশুহত্যা মামলা দায়ের করে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।

পুলিশ জানিয়েছে, বাঁশদ্রোণীর বেকার বাজার এলাকার বাসিন্দা মালিকাদেবী ওই বাড়িতে একাই থাকেন। পাশে অনেকটা জায়গা জুড়ে তাঁর পৈতৃক সম্পত্তি রয়েছে। সেখানেই দোতলা বাড়িতে কয়েক ঘর ভাড়াটে ছাড়া রয়েছে একটি বাজার। মালিকাদেবী জানান, বাজারের পিছনের ফাঁকা জায়গায় দীর্ঘ দিন ধরে বেশ কয়েকটি রাস্তার কুকুর থাকত। বছর আটেক আগে তিনি সেখানে ওদের জন্য টিন ও বাঁশের ছাউনি দিয়ে অস্থায়ী ঘর বানিয়ে দেন। সেখানেই থাকত বছর তিনেকের কুকুরগুলি।

মালিকাদেবী জানান, মঙ্গলবার রাতে স্থানীয় সুপার মার্কেটের কাছে পথকুকুরদের খাবার দিতে গিয়েছিলেন তিনি। তখনই খবর পান, বাজার সংলগ্ন দোতলা বাড়িতে আগুন ধরেছে। তিনি বলেন, ‘‘গিয়ে দেখি, দমকল, পুলিশ, সিইএসসি থেকে লোক এসেছেন। কিছু ক্ষণ পরে জানতে পারি ওই ছ’টি কুকুর মারা গিয়েছে। তখনই জানলাম, ওই ঘরের টিনের দেওয়ালে বিদ্যুতের তার ছিল।’’

তদন্তকারীদের অনুমান, কোনও ভাবে টিনের দেওয়ালটি বিদ্যুৎবাহী হয়ে গিয়েছিল। তার ফলেই কুকুরগুলি বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়। মালিকাদেবীর দাবি, ‘‘ভাড়াটেরা কেউ আমাকে ঠিক মতো ভাড়া দেন না। ওঁরাই গোটা ঘটনাটি ঘটিয়েছেন।’’ অভিযোগ মানতে নারাজ ভাড়াটেরা। তাঁদের এক জন প্রীতি ভট্টাচার্য বলেন, ‘‘উনি নিজেই আমাদের সঙ্গে সহযোগিতা করেন না। জোর করে মিটারঘর থেকে বিপজ্জনক ভাবে কুকুরদের ঘরে বিদ্যুতের তার নিয়ে গিয়েছেন। তা থেকেই শর্ট সার্কিট হয়ে আগুন ধরেছিল। কুকুর মারার মানসিকতা আমাদের নেই।’’

Crime Police Death Dog
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy