দুর্গাপুজোর পরে কেটে গিয়েছে এক মাস। এখনও কুমোরটুলির বিভিন্ন স্টুডিয়োয় পড়ে রয়েছে একাধিক অবিক্রীত দুর্গা প্রতিমা। কুমোরটুলির শিল্পীরা জানাচ্ছেন, করোনা পরিস্থিতিতে শেষ মুহূর্তে অনেকে পুজো বাতিল করায় আর প্রতিমা নিতে আসেননি। ফলে সে সব রয়ে গিয়েছে শিল্পীদের কাছেই। এই ভাবে প্রতিমা পড়ে থাকার ঘটনা সাম্প্রতিক অতীতে হয়নি বলেই জানাচ্ছেন তাঁরা।
রবিবার কুমোরটুলিতে গিয়ে দেখা গেল পড়ে থাকা দুর্গা প্রতিমার সামনেই বিক্রি হয়ে যাচ্ছে জগদ্ধাত্রী প্রতিমা। বিক্রি হয়ে গিয়েছে লক্ষ্মী, কালী প্রতিমাও। শিল্পীরা জানাচ্ছেন, জগদ্ধাত্রী প্রতিমা মূলত বায়না অনুযায়ীই তৈরি করা হয়। তাই এই প্রতিমা প্রায় সবই বিক্রি হয়ে গিয়েছে। কিন্তু শিল্পীরা অনেক দুর্গা প্রতিমা বায়না ছাড়াও বানান। উদ্যোক্তারা কুমোরটুলি থেকে সরাসরি প্রতিমা কিনে নিয়ে যান। মূলত সেই সব প্রতিমাই এ বছর বিক্রি হয়নি।
করোনা পরিস্থিতিতে প্রতিমা বানানো থেকে শুরু করে বিক্রি এবং শেষে প্রতিমা পড়ে থাকার যে অভিজ্ঞতা গত কয়েক মাসে হল, তার পুনরাবৃত্তি কোনও দিনই চান না বলে জানাচ্ছেন শিল্পীরা। অধিকাংশ শিল্পীর কাছেই রয়ে গিয়েছে অন্তত একটি-দু’টি করে প্রতিমা। দুর্গাপুজোর পরে লক্ষ্মীপুজোয় দুর্গার পাশে থাকা লক্ষ্মী প্রতিমা বিক্রি করে দেওয়া গিয়েছে। এমনকি, কার্তিকের মূর্তিও আলাদা করে বিক্রি করা গিয়েছে। কিন্তু মূল দুর্গা প্রতিমা বিক্রির কোনও সুযোগ মেলেনি। আগামী বছর ওই সব প্রতিমা বিক্রি করার মতো অবস্থায় থাকবে কি না, তার নিশ্চয়তাও নেই। তাই এই সব প্রতিমা তৈরির পুরো খরচই লোকসানের খাতায় চলে গেল বলে জানাচ্ছেন শিল্পীরা।