—ফাইল চিত্র।
গ্যাস কাটার দিয়ে দুষ্কৃতীরা এটিএমের ভল্ট কেটে টাকা লুট করার প্রায় আধ ঘণ্টা পরে সেখানে আগুন লেগেছিল। একই সঙ্গে সাদা রঙের যে গাড়িতে চেপে দুষ্কৃতীরা এসেছিল, সেটির নম্বর প্লেট ছিল ভুয়ো। তিলজলার ওই এটিএমে লুটের ঘটনার তদন্তে নেমে এমনটাই সন্দেহ করছেন লালবাজারের অফিসারেরা। যদিও পুলিশের কোনও কর্তা এ নিয়ে বিশদে কিছু বলতে চাননি।
গত শুক্রবার ভোরে তিলজলার সি এন রায় রোডে একটি বেসরকারি ব্যাঙ্কের রক্ষীবিহীন এটিএম থেকে ১৩ লক্ষ টাকা লুট হয়। দু’দিন কেটে গেলেও এখনও কেউ গ্রেফতার হয়নি। তবে তদন্তে নেমে পুলিশের অনুমান, দুষ্কৃতী দলটি এই রাজ্যের নয়। এবং ওই গাড়িটির যে নম্বর প্লেট সিসি ক্যামেরার ফুটেজে দেখা গিয়েছে, সেটিও ভুয়ো। রবিবার পর্যন্ত ওই নম্বরের কোনও গাড়ির হদিস মেলেনি। তবে সিসি ক্যামেরার ফুটেজ দেখে গোয়েন্দারা এক প্রকার নিশ্চিত, এটিএমে আগুন লেগেছিল দুষ্কৃতী-দল এলাকা ছেড়ে চলে যাওয়ার বেশ কিছু ক্ষণ পরে। যুক্তি হিসেবে তাঁরা জানাচ্ছেন, যে সময়ে থানায় আগুন লাগার খবর পৌঁছেছিল, সিসি ক্যামেরার ফুটেজ থেকে দেখা যাচ্ছে, তার প্রায় আধ ঘণ্টা আগে কাজ হাসিল করে এলাকা ছেড়েছে দুষ্কৃতীরা।
প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ জেনেছে, দলটি গাড়ি নিয়ে সি এন রায় রোড থেকে ইএম বাইপাস ধরে উল্টোডাঙার দিকে গিয়েছে। কিন্তু সেখান থেকে তারা কোথায় গিয়েছে, সে বিষয়ে কিছু বলতে চাননি তদন্তকারীরা। পুলিশের আরও অনুমান, এটিএম লুট করতে অন্তত পাঁচ জন দুষ্কৃতী এসেছিল। সিসি ক্যামেরার ফুটেজ স্পষ্ট না হলেও সেখান থেকেই ওই পাঁচ জনের ধারণা পাওয়া গিয়েছে।
প্রসঙ্গত, তিলজলার এটিএমে লুটের তিন দিন আগে বিধাননগর কমিশনারেট এলাকার একটি এটিএমে লুটের ঘটনা ঘটেছিল। তারও আগে কোনা এক্সপ্রেসওয়ে এবং ছ’নম্বর জাতীয় সড়ক সংলগ্ন একটি এটিএমেও একই কায়দায় টাকা লুট হয়। প্রতিটি ক্ষেত্রেই দুষ্কৃতীরা এটিএমের সিসি ক্যামেরা অকেজো করে দিয়েছিল। পুলিশ জানিয়েছে, তিলজলাতেও টাকা লুট করার আগে সিসি ক্যামেরা অন্য দিকে ঘুরিয়ে দেয় ওই দুষ্কৃতী-দলটি।
লালবাজারের গোয়েন্দা বিভাগের এক অফিসার জানান, বছর চারেক আগে শহরের বিভিন্ন প্রান্তে এই কায়দায় পর পর এটিএম লুট করা হয়েছিল। তখন হরিয়ানা থেকে এক দুষ্কৃতী-দলকে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। বন্ধ হয়েছিল এমন ঘটনা। শুক্রবারের ঘটনার ক্ষেত্রে গোয়েন্দাদের অনুমান, লুটের পিছনে ভিন্ রাজ্যের কোনও দল জড়িত। সে কারণে তদন্তে নেমে কলকাতা ও পার্শ্ববর্তী জেলার পাশাপাশি প্রতিবেশী রাজ্যে এটিএম লুটে সিদ্ধহস্ত কোনও দুষ্কৃতী ছাড়া পেয়েছে কি না, তারও খোঁজ করছেন গোয়েন্দারা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy