বিধাননগরে ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হওয়ার খবর মিলছে অক্টোবরের পরেও। পুজোর মুখেই ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়ে সল্টলেকের একটি আবাসনে এক কিশোরীর মৃত্যু হয়েছিল। তখন নড়েচড়ে বসেছিল পুর প্রশাসন। আক্রান্তের বাড়ি থেকে শুরু করে ওই আবাসনের একাধিক জায়গায় বিপুল পরিমাণ ডেঙ্গির মশার লার্ভা ধ্বংস করেছিলেন পুরকর্মীরা। মশার তেল স্প্রে করার পাশাপাশি পুরসভার বিভিন্ন এলাকায় প্রচুর সংখ্যক গাপ্পি মাছ ছেড়েছিলেন পুর কর্তৃপক্ষ। কিন্তু ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হওয়ার ঘটনা থামেনি। সংখ্যায় কম হলেও একটি-দু’টি করে বিভিন্ন জায়গা থেকে ওই রোগে আক্রান্ত হওয়ার খবর পেয়েছে পুরসভা।
পুরসভা সূত্রের খবর, চলতি বছরে বিধাননগরে এখনও পর্যন্ত ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা ৩০০ পেরিয়েছে। যা অন্যান্য বছরের তুলনায় কম। অক্টোবর মাসের শেষ সপ্তাহে ১৮ জন ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়েছেন। অক্টোবরে মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৭৫। যা সেপ্টেম্বর মাসের তুলনায় কম। স্থানীয়দের একাংশের বক্তব্য, চলতি বছরে মশার দাপট থাকলেও ডেঙ্গির প্রকোপ অনেকটাই কম। কিন্তু লাগাতার বৃষ্টি, এমনকি, পুজোর পরেও বৃষ্টি হওয়ায় মশার প্রজননের উপযুক্ত পরিবেশ সৃষ্টি হচ্ছে। তার জেরেই ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হচ্ছেন মানুষ।
যদিও বাসিন্দাদের একাংশের অভিযোগ, বিভিন্ন জায়গায় জল জমার প্রবণতা এবং আবর্জনা সাফাইয়ের ক্ষেত্রে গা-ছাড়া মনোভাব সমস্যাকে আরও বাড়িয়ে তুলছে। সল্টলেকের পাশাপাশি রাজারহাট-গোপালপুর এলাকাতেও মশাবাহিত রোগে আক্রান্ত হয়েছেন অনেকেই। সেখানকার বাসিন্দাদের একাংশের কথায়, জল জমার প্রবণতা না কমলে পুরসভার চেষ্টা বিফলেই যাবে। পুরসভা সূত্রের দাবি, রাজারহাট-গোপালপুর এলাকায় রাস্তা ও নালা তৈরির প্রকল্পের কাজ চলছে। সেই সামগ্রিক কাজ হয়ে গেলে জল জমার সমস্যা অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে আসবে।
পুরসভার মেয়র পারিষদ (স্বাস্থ্য) বাণীব্রত বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, অন্যান্য বছরের তুলনায় এ বার ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হওয়ার খবর কম মিলেছে। তা সত্ত্বেও প্রতিটি ওয়ার্ডে মশাবাহিত রোগ প্রতিরোধের কাজে জোর বাড়ানো হয়েছে। চলছে নজরদারিও।
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)