E-Paper

ডেঙ্গিতে মৃত্যুর পরে পাড়াতেই মিলল বিপুল লার্ভা! প্রশ্নে সচেতনতা

পুরসভা জানিয়েছে, চলতি বছরে এখনও পর্যন্ত ২৩০ জন ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়েছেন। জুলাইয়ে এই সংখ্যা ছিল ৪২।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৭ অক্টোবর ২০২৫ ১০:৩৯
—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।

—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।

জ্বরে আক্রান্ত হয়ে রবিবার মৃত্যু হয়েছে সল্টলেকের ইএসআই আবাসনের বাসিন্দা এক কিশোরীর। সোমবার ওই এলাকা জীবাণুমুক্ত করতে গিয়ে পাড়ার একটি বন্ধ ফ্ল্যাটে মিলল জমা জল এবং লার্ভা। এ দিন এমনই অভিজ্ঞতার সম্মুখীন হলেন বিধাননগর পুরসভার কর্মী ও আধিকারিকেরা।

ওই বন্ধ ফ্ল্যাটটি ছাড়াও এলাকায় গাড়ি রাখার একটি বাঁশের চালার ছাউনিতে, ইএসআই আবাসনের একাধিক পাত্রে, ট্যাঙ্কের জমা জলে মিলেছে লার্ভা। এমনকি, যে কিশোরীর মৃত্যু হয়েছে, তার বাড়িতেও ফ্রিজের পিছনে জমা জলে লার্ভা মিলেছে বলে দাবি পুরসভার। ফলে, সার্বিক সচেতনতা নিয়েই উঠছে প্রশ্ন।

তবে স্থানীয়দের একাংশের কথায়, ‘‘এলাকা নিয়মিত পরিষ্কারের কাজ হয়। পুজোর মুখে অতি ভারী বৃষ্টিতে রোগের প্রকোপ বৃদ্ধি পেয়েছে।’’ যদিও অভিযোগ, কোনও ঘটনা ঘটলে কিছু দিন পুর তৎপরতা দেখা যায়। আগে দেখলে লার্ভা তখনই ধ্বংস করা যেত।

পুরসভা জানিয়েছে, চলতি বছরে এখনও পর্যন্ত ২৩০ জন ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়েছেন। জুলাইয়ে এই সংখ্যা ছিল ৪২। যা অগস্ট ও সেপ্টেম্বরে বেড়ে দাঁড়ায় যথাক্রমে ৬৪ এবং ১০১। অর্থাৎ, পুজোর আগে থেকেই বিধাননগরে ডেঙ্গির লেখচিত্র ঊর্ধ্বমুখী। তাই পুজোর প্রাক্কালে ডেঙ্গি নিয়ে এলাকাবাসীকে সচেতন করেছিল পুরসভা। পুজোর সময়ে ডেঙ্গি প্রতিরোধে জোর বাড়ানো হয়েছে বলেও দাবি পুরসভার।

অভিযোগ, ২০২২ ও ২০২৩ সালের তুলনায় গত দু’বছরে ডেঙ্গির লেখচিত্র নিম্নমুখী হলেও পরিচ্ছন্নতার নিরিখে মান পিছিয়ে পড়েছে। ৩৩ নম্বর ওয়ার্ডে এটিআই বাস স্টপ থেকে লাবণী মোড়ের দিকে গেলে ফুটপাতে অস্বাস্থ্যকর পরিস্থিতির দিকে পুরসভার নজর দেওয়ার দাবি করেছেন বাসিন্দারা।

যদিও পুরসভার দাবি, নতুন গাড়ি কিনে নিয়মিত এলাকা সাফ করা হচ্ছে। তবে পুরকর্মীদের পাল্টা অভিযোগ, এলাকায় ডেঙ্গি নিয়ে সচেতনতার অভাব রয়েছে। বার বার বলা সত্ত্বেও হুঁশ ফিরছে না।জ্বর হলে রক্ত পরীক্ষার ফলাফল সম্পর্কে সময়ে খবর পৌঁছচ্ছে না পুরসভার কাছে। এক পুরকর্তা জানান, ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হলে তথ্য গোপনের প্রবণতার জেরে পদক্ষেপ করতে সময় লাগছে।

বিধাননগর পুরসভার মেয়র পারিষদ (স্বাস্থ্য) বাণীব্রত বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‘সচেতনতায় জোর বাড়ানো হচ্ছে। বিগত বছরগুলির তুলনায় ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা কম। জুলাই থেকে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়লেও হার ছিল কম। কিন্তু পুজোর আগে বৃষ্টিতে আশঙ্কা বেড়েছে। তবে মৃত্যুর পুনরাবৃত্তি এড়াতে পদক্ষেপ করা হচ্ছে। রক্ত পরীক্ষায় ডেঙ্গি ধরা পড়লে দ্রুত পুরসভাকে জানান। তাতে দ্রুত পদক্ষেপ করা যাবে।’’

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

Dengue Salt Lake

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy