বিজেপির এক নেতাকে মারধরের অভিযোগ উঠল বিধাননগর পুরসভার এক তৃণমূল কাউন্সিলর ও তাঁর লোকজনের বিরুদ্ধে। সোমবারের এই ঘটনায় অভিযোগ উঠেছে ২০ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রসেনজিৎ নাগ ও তাঁর অনুগামীদের বিরুদ্ধে। বিজেপির তরফে দাবি করা হয়েছে, প্রহৃত নেতার নাম বিকাশ বিশ্বাস। তিনি রাজারহাট-নিউ টাউন বিধানসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত দু’নম্বর মণ্ডলের সাধারণ সম্পাদক। বিজেপির অভিযোগ, মারধর করার পরে বিকাশের বিরুদ্ধে যৌন হেনস্থা-সহ একাধিক মিথ্যা অভিযোগে মামলা দায়ের করা হয়েছে বাগুইআটি থানায়।
বিজেপির রাজ্য কমিটির সদস্য তথা নিউ টাউনের বাসিন্দা অনুপম ঘোষ জানান, সোমবার জগৎপুর বাজার এলাকার পিছনে ওই ঘটনা ঘটে। তিনি জানান, ওই দিন বেলার দিকে এলাকায় ব্লিচিং পাউডার ছড়ানোর কর্মসূচি নিয়েছিলেন বিকাশেরা। সেই কারণেই তিনি শাসকদলের বিরাগভাজন হন।
মঙ্গলবার অনুপম বলেন, ‘‘বিকাশ মার খেয়েছেন। কাউন্সিলরের লোকজন তো বটেই, কাউন্সিলর নিজেও বিকাশকে মেরেছেন। তার পরে নিজেদের লোকজনকে দিয়ে বিকাশের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ করিয়ে তাঁকে এলাকাছাড়া করেছেন।’’ বিকাশের দাবি, ওই সময়ে তিনি কাউন্সিলরের অফিসের সামনে দিয়ে যাচ্ছিলেন। হঠাৎ আক্রমণের মুখে পড়েন। কাউন্সিলর ও তাঁর লোকজন তাঁকে মারধর করেন। যাবতীয় অভিযোগ ইমেলের মাধ্যমে বিধাননগর কমিশনারেটে পাঠিয়েছেন বলেই জানিয়েছেন বিকাশ।
যদিও অভিযুক্ত কাউন্সিলর নিজে মারধর করেছেন ওই বিজেপি নেতাকে, এমন অভিযোগ নস্যাৎ করে দিয়েছে তৃণমূল। কাউন্সিলর প্রসেনজিতের পাল্টা দাবি, বিকাশরাই নানা ধরনের অসামাজিক কাজের সঙ্গে জড়িত। তিনি বলেন, ‘‘এক মহিলাকে যৌন হেনস্থা করেছেন বিকাশ। তা নিয়ে প্রথমে আমার পার্টি অফিসের বাইরে ঝামেলা হয়। তখন ওঁদের সেখান থেকে চলে যেতে বলা হয়। খানিক ক্ষণ পরে ওঁরা মত্ত অবস্থায় এসে গোলমাল পাকানোর চেষ্টা করেন। তাতেই স্থানীয়দের গণরোষের মুখে পড়েন ওঁরা। পুলিশ তদন্ত করছে।’’