‘স্ট্রিট লাইব্রেরি’, মানে রাস্তার ধারে বই পড়ার জায়গা নতুন বিষয় নয়। কিন্তু বাসযাত্রীদের জন্য কলকাতার বাস স্টপে র্যাক ভর্তি বই! এরকমই পরিকল্পনা করেছেন আলিমুদ্দিনের বাসিন্দা তৌসিফ রহমান। এর আগে এপ্রিল মাসে গরম বাড়তে পথচলতিদের তেষ্টা মেটাতে রাস্তায় ফ্রিজ রেখে দিয়েছিলেন তিনি। এবার, মধ্য কলকাতার জোড়া গির্জা বাস স্টপে সাধারণ যাত্রীদের পড়ার জন্য ছোট গল্পের বই রাখতে চলেছেন তৌসিফ।
শীত-গ্রীষ্ম-বর্ষা যা-ই হোক, বাসের জন্য অপেক্ষা করতে বিরক্তিই লাগে। অগত্যা মুঠোফোনে খুটখাট বা বারবার রাস্তার দিকে তাকিয়ে দেখা, গন্তব্যগামী বাস আসছে কি না। তৌসিফের মতে, চুপচাপ ১৫ মিনিট বা আধ ঘন্টা বাসের অপেক্ষা করতে করতে রবীন্দ্রনাথের একটা ছোট গল্প বা চাচা চৌধুরী পড়ে নেওয়া যাবে। এতে বিরক্তিও কাটবে আবার বই পড়ার অভ্যাসও বজায় রাখা যাবে।
শুধু বই নয়, রোজকার খবরের কাগজ রাখারও পরিকল্পনা রয়েছে তৌসিফের। আপাতত পুরনো বই দিয়েই এই ‘প্রতীক্ষালয় লাইব্রেরির’ পথ চলা শুরু হতে চলেছে। সেল্ফ এবং বইয়ের জন্য প্রাথমিক খরচ তিনি করলেও অনেকেই বই দানও করবেন বলে তাঁর আশা। ছোট ছোট গল্প, কমিকস এবং পুরনো বই রাখার চিন্তাভাবনা রয়েছে তাঁর। বাস স্টপে একাধিক ভাষার বই থাকবে বলে জানান তিনি। বাংলা, ইংরাজির পাশাপাশি হিন্দি এবং উর্দু গল্পের বইও রাখা হবে।