চলতি মাসের শেষে শিয়ালদহ পর্যন্ত সম্প্রসারিত হতে পারে ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রোর যাত্রী পরিষেবা। আগামী ৩১ মে রেলমন্ত্রীর কলকাতা সফরের সময়ে একাধিক উদ্বোধন-কর্মসূচির মধ্যে এই বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত হওয়ার সম্ভাবনা প্রবল। মেট্রোর অন্দরের খবর, ইতিমধ্যেই রেল বোর্ডের তরফে মৌখিক ভাবে তাদের ওই পরিষেবা চালু করার বিষয়ে প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি নেওয়ার কথা জানানো হয়েছে। যদিও মেট্রো কর্তৃপক্ষ এ নিয়ে মুখ খোলেননি। রেল বোর্ডের বার্তা পাওয়ার পরে শিয়ালদহে নবনির্মিত মেট্রো স্টেশন পরিচ্ছন্ন করার বিষয়ে তৎপরতা শুরু হয়েছে বলে কলকাতা মেট্রো রেল কর্পোরেশন লিমিটেড (কেএমআরসিএল) সূত্রের খবর। প্রসঙ্গত, ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রোর যাবতীয় পরিকাঠামো তৈরি করার দায়িত্ব ওই সংস্থারই।
গত ২৪ মার্চ বেশ কিছু শর্ত সাপেক্ষে শিয়ালদহ পর্যন্ত ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রোর যাত্রী পরিষেবা সম্প্রসারিত করার ছাড়পত্র দিয়েছিলেন কমিশনার অফ রেলওয়ে সেফটি। বর্তমানে ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রো পরিষেবা সেক্টর ফাইভ থেকে ফুলবাগান স্টেশন পর্যন্ত বিস্তৃত। ওই অংশের দৈর্ঘ্য ৬.৬৬৫ কিলোমিটার। শিয়ালদহ পর্যন্ত পরিষেবা সম্প্রসারিত হলে মেট্রোপথের দৈর্ঘ্য হবে ৮.৯৯৫ বা প্রায় ৯ কিলোমিটার। গত মার্চের তৃতীয় সপ্তাহে রেলওয়ে সেফটি কমিশনারের ছাড়পত্র পাওয়ার পরেই বাংলা নববর্ষে মেট্রোর উদ্বোধন নিয়ে জল্পনা ছড়ায়।
পূর্ব রেল এবং কলকাতা মেট্রো রেলের জেনারেল ম্যানেজার অরুণ অরোরা এই প্রসঙ্গে তাঁদের আগ্রহের কথা রেল বোর্ডকে জানানোর কথা বলেছিলেন। যদিও সেই সময়ে রেল বোর্ডের তরফে সম্মতি মেলেনি। শিয়ালদহ স্টেশনে যাত্রী-সুরক্ষার প্রশ্নে বেশ কিছু নির্মাণগত ত্রুটি দ্রুত শুধরে ফেলা দরকার বলে জানিয়েছিলেন রেলওয়ে সেফটি কমিশনার। যার মধ্যে অন্যতম ছিল অগ্নি-সুরক্ষা। মেট্রো স্টেশনে প্রবেশের দু’টি পথের মধ্যে শিয়ালদহ রেল স্টেশনের দিকের প্রবেশপথটি তৈরি হয়ে গেলেও আদালতের দিকের প্রবেশপথের বেশ কিছু কাজ বাকি ছিল। সম্প্রতি তা সম্পূর্ণ হয়েছে। তবে মেট্রোর সাবওয়ে এবং রেলের সাবওয়ে সংযুক্তির কাজ এখনও বাকি। মেট্রোর আধিকারিকেরা অবশ্য জানাচ্ছেন, এর জন্য পরিষেবা ব্যাহত হবে না।