এই জমি ঘিরেই বিতর্ক। নিজস্ব চিত্র
পুজোর মাঠে হোঁচট খেল বুস্টার পাম্পিং স্টেশনের পরিকল্পনা।
পুরনো বুস্টার পাম্পিং স্টেশনের কারণে এলাকায় জলের চাপ কম, তাই নতুন পরিকল্পনা ছিল নতুন পাম্পিং স্টেশন করার। কিন্তু জমি চিহ্নিত করতে গিয়েই বাধার সম্মুখীন হল সেই প্রকল্প। ঢাকুরিয়ার একাংশে জলের চাপ এবং পানীয় জলের সরবরাহ বাড়াতে ওই প্রকল্প হাতে নিয়েছিল কলকাতা পুরসভার জল সরবরাহ দফতর।
তারকেশ্বর সেন স্মৃতি উদ্যানের একাংশ চিহ্নিত করা হয়েছিল এই প্রকল্পের জন্য। ঘটনাচক্রে এই উদ্যানেই বহু দিন ধরে বাবুবাগান সর্বজনীনের পুজো হয়ে আসছে। এই প্রকল্প হলে সেই পুজো বন্ধ হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা। অভিযোগ, সেই কারণেই পুজো কমিটির একাংশ ওই জমিতে প্রকল্প তৈরির বিরোধিতা করছেন। বাবুবাগান পুজো কমিটির সম্পাদক সরোজ ভৌমিক বলেন, ‘‘এই মাঠ নিয়ে এলাকার বাসিন্দাদের উন্মাদনা অনেক দিনের। পুজো ছাড়াও এলাকার শিশুরা এখানে খেলাধুলো করে। তাই আমরা একটি বিকল্প জমির বিষয়ে পুর কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি।’’
তবে বিকল্প হিসেবে সে জায়গাটির কথা বলা হচ্ছে, সেখানে একটি জলাশয় থাকায় বিতর্ক আরও বেড়েছে। সরোজবাবুর দাবি, বিকল্প জমিতে আগে জলাশয় ছিল না। কৃত্রিম ভাবে জলাশয় সাজিয়ে রাখা হয়েছে। তিনি আরও জানান, প্রকল্প নিয়ে কোনও রাজনীতি নেই। পুরসভার সঙ্গে সহযোগিতা করবেন এলাকার বাসিন্দারা। পুর কর্তৃপক্ষ-সহ মেয়রকে চিঠি দিয়ে বিকল্প জমির কথা ভাবার আবেদন করেছেন তাঁরা।
ওই এলাকা কলকাতা পুরসভার ৯২ নম্বর ওয়ার্ডের অন্তর্ভুক্ত। স্থানীয় কাউন্সিলর, সিপিআই-এর মধুছন্দা দেব বলেন, ‘‘প্রস্তাবিত প্রকল্পের জন্য যে জায়গা চিহ্নিত করা হয়েছিল তা নিয়ে স্থানীয় পুজো কমিটির সদস্যেদর একাংশ আপত্তি জানিয়েছেন। বিকল্প হিসেবে যে জমি চিহ্নিত করা হয়েছে, সেখানে জলাশয় থাকায় সমস্যা রয়েছে।’’
কলকাতা পুরসভার জল সরবরাহ দফতর থেকে জানানো হয়েছে, আপাতত পুজোর মাঠের একাংশই ওই প্রকল্পের জন্য চিহ্নিত রয়েছে। জলাশয়-সহ জমিটির বিষয়ে আলোচনা চলছে। এখনও এ বিষয়ে কোনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি। ওই দফতরের এক আধিকারিক জানান, ঢাকুরিয়ার কাছে তেলিপাড়ায় যে পুরনো বুস্টার পাম্পিং স্টেশন রয়েছে সেখানে গার্ডেনরিচ এবং জয় হিন্দ প্রকল্প থেকে জল আসে। কিন্তু জলের চাপ কম থাকায় নতুন বুস্টার পাম্পিং স্টেশন তৈরির সিদ্ধান্ত হয়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy