Advertisement
০৫ মে ২০২৪

বিপর্যয়ে ‘আলো ছড়াচ্ছে’ সাদামাঠা মণ্ডপই

পুজো কমিটির সম্পাদক আশিস সেন বলেন, ‘‘৫৭ বছরের পুজোটা যেন এ বার থেমে না যায়, সেটাই সবাই মিলে আপ্রাণ চেষ্টা করেছিলাম। আমরা সফল হয়েছি। শেষ মুহূর্তে কুমোরটুলি থেকে একচালার ছোট প্রতিমা কিনে এনেছি।’’

দুগ্গা দুগ্গা: মধ্য কলিকাতা সেকরাপাড়া লেন যুবক সমিতির পুজো। ছবি: স্বাতী চক্রবর্তী

দুগ্গা দুগ্গা: মধ্য কলিকাতা সেকরাপাড়া লেন যুবক সমিতির পুজো। ছবি: স্বাতী চক্রবর্তী

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ০৭ অক্টোবর ২০১৯ ০০:৩৬
Share: Save:

আলোর রোশনাই নেই। নেই মণ্ডপসজ্জায় অভিনবত্বের ছাপ। তবু অষ্টমীর সন্ধ্যায় বৌবাজারের এই মণ্ডপে যে আলো জ্বলছে, সেই আলোর উজ্জ্বলতা যেন কলকাতার বড় বড় মণ্ডপের আলোকসজ্জাকে ম্লান করে দেয়।

যতই বিপর্যয় নেমে আসুক, পুজো করবই। এমনই অদম্য জেদ ছিল বৌবাজারের সেকরাপাড়া লেনের বাসিন্দাদের। শেষ পর্যন্ত তাঁদের জেদেরএ জয় হল। বৌবাজারের মধ্য কলিকাতা সেকরাপাড়া লেন যুবক সমিতির পুজো ৫৭ বছরে থেমে গেল না। পা দিল ৫৮ বছরে।

বৌবাজারের সেকরাপাড়া লেন ও দুর্গা পিতুরি লেনের বাসিন্দারা জানাচ্ছেন, মেট্রোর সুড়ঙ্গ খুঁড়তে গিয়ে তাঁদের বাড়ি ভাঙার বিপর্যয়ের পরে এখনও বেশির ভাগ বাসিন্দাই পাড়ায় ফিরতে পারেননি। সেকরাপাড়া লেন ও দুর্গা পিতুরি লেনের যে অংশে বাড়ি ভেঙেছে, সেই অংশে কোনও বাসিন্দাই প্রায় নেই। তাঁদের ঠাঁই হয়েছে হোটেলে। পুজো কমিটির সম্পাদক আশিস সেন বলেন, ‘‘৫৭ বছরের পুজোটা যেন এ বার থেমে না যায়, সেটাই সবাই মিলে আপ্রাণ চেষ্টা করেছিলাম। আমরা সফল হয়েছি। শেষ মুহূর্তে কুমোরটুলি থেকে একচালার ছোট প্রতিমা কিনে এনেছি।’’ আশিসবাবু নিজেও এখনও পাড়ায় ফিরতে পারেন নি। পরিবার নিয়ে হোটেলেই থাকছেন।

পুজো কমিটির সদস্যেরা জানাচ্ছেন, অনেক কিছুরই আয়োজন করা যায়নি। তবু এ বারের পুজো করার গুরুত্ব ছাপিয়ে গিয়েছে বিগত বছরগুলিকে। পুজোর কর্মকর্তা থেকে পাড়ার বাসিন্দারা জানাচ্ছেন, শেষ পর্যন্ত যে পুজো করা গেল, সন্ধিপুজো হল, পুণ্যার্থীদের প্রসাদ বিতরণ করা হল— এটাই বা কম কী? এটুকুও যে করা যাবে, সেটা তো ভাবতে পারা যায়নি কয়েক দিন আগেও।

তবু কিছুটা মন খারাপ এলাকার বাসিন্দাদের। এলাকার বাসিন্দা গোপাল জয়সওয়াল জানান, পুরনো জায়গায় পুজো হল না। অন্যবার নবমীতে সেকরাপাড়া লেন, গৌর দে লেন ও দুর্গা পিতুরি লেনের বাসিন্দারা মণ্ডপে বসে ভোগ খেতেন। আশপাশের পাড়ায় ভোগ বিতরণও করা হত। এ বার ভোগটাই হবে নামমাত্র।

অষ্টমীর সন্ধ্যায় গৌর দে লেনের বাসিন্দা ফকিরচাঁদ মোদক তাঁর বোন লক্ষ্মী মোদককে নিয়ে মণ্ডপে এসে বলেন, ‘‘ভাবতেই পারিনি এ বার পুজো হবে। সকালে অঞ্জলি দিয়েছি। এখন বোনকে নিয়ে ঠাকুর দেখে গেলাম। পাড়ার ছেলেরা যে এই বিপর্যয়ের মধ্যেও পুজো করল, তাতে আমরা

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Durga Puja 2019 Goldsmith Bowbazar
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE