ফের এসএসকেএমে দালাল চক্রের সন্ধান মিলল। লালবাজার সূত্রে খবর, এক রোগীর পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে পিজি চত্বর থেকে গ্রেফতার হয়েছে এক দালাল। ধৃত প্রদীপ চৌধুরীর বাড়ি মুর্শিদাবাদে। আজ, শুক্রবার তাঁকে আদালতে তোলা হবে।
পুলিশ জানায়, সম্প্রতি মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে পিজিতে দালালদের বিরুদ্ধে পুলিশি অভিযান শুরু হয়। সাত দালালকে ধরা হয়। পুলিশি অভিযানের পরে গা ঢাকা দেয় দালাল চক্রের সদস্যেরা। পুজোর পরে ফের দেখা মিলতে থাকে তাদের। পুলিশের একাংশের দাবি, চিকিৎসক, কর্মীদের একাংশের মদতেই দালাল চক্রের রমরমা। পিজির রোগী উন্নয়ন কমিটির চেয়ারম্যান এবং ক্রীড়া ও যুব কল্যাণ দফতরের মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাসের দাবি, ওই দালালদের বিরুদ্ধে অভিযান চলবে। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে রাজ্যের স্বাস্থ্য ব্যবস্থাকে আন্তর্জাতিক মানের করে তোলা হচ্ছে। সে পথে বাধা হয়ে দাঁড়ালে পুলিশ ব্যবস্থা নেবে বলে তিনি জানান।
পুলিশ জানায়, বৃহস্পতিবার সাঁতরাগাছির বাসিন্দা শ্রীমন্ত রায় অভিযোগ করেন, শনিবার পেটের সমস্যায় পিজি-র মেন ব্লকে ভর্তি করানো হয় তাঁর শাশুড়ি অলোকা মণ্ডলকে। বৃহস্পতিবার তাঁর অবস্থার অবনতি হলে চিকিৎসকেরা রোগীকে আইসিসিউতে স্থানান্তরিত করতে বলেন। রোগীর পরিবারের দাবি, তখন তাঁদের সঙ্গে আলাপ হয় প্রদীপের। অভিযোগ, সে আশ্বাস দেয় সা়ড়ে ছ’হাজার টাকা দিলে আইসিসিউতে ভর্তি ও বেডের ব্যবস্থা করে দেবে। পুলিশ জানায়, শ্রীমন্ত তার হাতে টাকা তুলে দেন। তাঁদের ওই ওয়ার্ডের বাইরে অপেক্ষা করতে বলে প্রদীপ চলে যায়। প্রদীপ না ফেরায় প্রতারিত হয়েছেন বুঝতে পেরে পিজির পুলিশের আউট পোস্টে যোগাযোগ করেন শ্রীমন্ত। পুলিশ জানায়, হাসপাতালে থাকা পুলিশকর্মীরা সন্ধ্যায় জরুরি বিভাগের সামনে থেকে প্রদীপকে ধরেন। প্রদীপ কয়েক বছর ধরে দালালিতে যুক্ত। মুর্শিদাবাদের বাসিন্দারা পিজিতে এলে তাঁদের সাহায্যের জন্য এগিয়ে যেত সে। এ দিন অবশ্য অন্য এক জনের মাধ্যমে শ্রীমন্তদের সঙ্গে তাঁর যোগাযোগ হয় বলে দাবি করেছে প্রদীপ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy