Advertisement
E-Paper

পারাপারে নজর সিসি ক্যামেরায়

প্ল্যাটফর্মে ট্রেনটি পৌঁছনোর আগেই কয়েকজন যাত্রী লাফিয়ে ওই লাইন পেরিয়ে প্ল্যাটফর্মে উঠে পড়লেন, যাতে আগে থাকতেই ট্রেনে উঠে আসন দখল করা যায়।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১০ নভেম্বর ২০১৮ ০৩:৪৫
প্রতীকী ছবি।

প্রতীকী ছবি।

আপ লাইন দিয়ে প্ল্যাটফর্মে ঢুকছে ট্রেন। প্ল্যাটফর্মে ট্রেনটি পৌঁছনোর আগেই কয়েকজন যাত্রী লাফিয়ে ওই লাইন পেরিয়ে প্ল্যাটফর্মে উঠে পড়লেন, যাতে আগে থাকতেই ট্রেনে উঠে আসন দখল করা যায়।

কানে মোবাইল ফোন নিয়ে কথা বলতে বলতে এক যুবক রেললাইন ধরে হেঁটে প্ল্যাটফর্মের দিকে আসছেন। পাশের লাইন দিয়ে বেরিয়ে গেল ট্রেন।

টুকরো এই ছবিগুলো শিয়ালদহ স্টেশনের দক্ষিণ শাখার। রেললাইন ধরে হাঁটা বা পারপার করা রেলের আইনে দণ্ডনীয় অপরাধ। যা বিভিন্ন ভাবে প্রচারও করে রেল। অভিযোগ, তাতে কোন হেলদোল নেই যাত্রীদের একাংশের। শিয়ালদহ স্টেশনের দক্ষিণ শাখার প্ল্যাটফর্মের শেষ প্রান্তের ওই ছবি অফিস টাইমে শিয়ালদহ উত্তর শাখাতেও কিন্তু অহরহ মিলবে। দুই লাইনের মাঝে কোনও ফেন্সিং না থাকায় অনায়াসেই প্ল্যাটফর্মের শেষ প্রান্ত দিয়ে লাইন পারের প্রবণতা রয়েছে সব বয়সি যাত্রীদের মধ্যেই।

রেল সূত্রের খবর, চলতি বছরের অক্টোবরেই শিয়ালদহ স্টেশন সংলগ্ন কয়েকশো মিটারের মধ্যে রেললাইন পার হতে গিয়ে ট্রেনে কাটা পড়ে মৃত্যু হয়েছে ১৩ জনের। সেপ্টেম্বরেও মারা গিয়েছেন ১২ জন। ট্রেনের ধাক্কায় আহতের সংখ্যা মৃত্যুরও কয়েক গুণ।

রেলপুলিশ সূত্রে খবর, মোবাইল কানে দিয়ে প্ল্যাটফর্মের শেষ প্রান্ত দিয়ে রেললাইন টপকে অন্য প্ল্যাটফর্মে যাওয়া ঠেকাতে মাঝে নজরদারি শুরু করা হয়েছিল। কিন্তু কর্মীর অভাবে তা সম্ভব হচ্ছে না। রেল অহেতুক যাত্রীদের হেনস্থা করছে, এমন অভিযোগ ওঠার পরে ওই নজরদারিতেও শিথিলতা এসেছে। যার সুযোগ নিচ্ছেন নিয়মভঙ্গকারী যাত্রীরা। রেলপুলিশের মতে, কোন যাত্রীই শিকার করতে চান না যে তিনি রেললাইন টপকেছেন। আবার প্ল্যাটফর্মের ওই প্রান্তগুলিতে সিসি ক্যামেরা নেই। ফলে যাত্রীদের অভিযোগ মিথ্যে প্রমাণের সুযোগও নেই। তাই উল্টে চাপ বাড়ছিল রেলের। রেলপুলিশের এক কর্তা জানান, যাত্রীদের হেনস্থা করছে রেলপুলিশ, এমন অভিযোগ উঠতেই তাই শিয়ালদহ জিআরপির তরফে নজরদারি কমানো হয়েছে।

রেলপুলিশ সূত্রে খবর, ট্রেনে কাটা পড়ার দুর্ঘটনা ঠেকাতে এবং যাত্রীদের রেললাইন পারাপার বন্ধ করতে প্ল্যাটফর্মের শেষ প্রান্তে দুই লাইনের মাঝে কয়েকশো মিটার ফেন্সিং দেওয়ার জন্য রেলের সঙ্গে কথা শুরু হয়েছে। সেই সঙ্গে নজরদারির সময়ে তথ্যপ্রমাণ হাতে রাখতে সিসি ক্যামেরা বসানো নিয়েও আলোচনা করা হবে বলে জানিয়েছেন রেল পুলিশের এক আধিকারিক। পূর্ব রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক রবি মহাপাত্র বলেন, ‘‘রেললাইন পারাপার আটকাতে গণমাধ্যমে সর্তকতামূলক প্রচারও করা হচ্ছে। পাশাপাশি আরপিএফ প্রতিদিনই নজর রাখছে। এত দুর্ঘটনা দেখেও তো মানুষ সচেতন হচ্ছেন না!’’

CCTV Railway Accident Precaution
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy