আর শুধু ইংরেজি নয়, এ বার বাংলাতেও বিল ছাপানো শুরু করল সিইএসসি। বিদ্যুতের বিলে নানা খুটিনাটি বিবরণ থাকে। ইংরেজিতে লেখা বিল দেখে সেই সব বিবরণ পুরোপুরি বুঝতে অনেক গ্রাহক সমস্যায় পড়েন। তাঁদের কথা ভেবেই আঞ্চলিক ভাষায় বিলের ব্যবস্থা, বৃহস্পতিবার জানালেন সিইএসসি চেয়ারম্যান সঞ্জীব গোয়ঙ্কা।
আঞ্চলিক ভাষায় বিদ্যুতের বিল ছাপানোর আনুষ্ঠানিক সূচনায় এ দিন সঞ্জীব গোয়েঙ্কার সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন অভিনেতা তথা সাংসদ দেব। সিইএসসি চেয়ারম্যান বাংলায় ছাপানো প্রথন বিলটি দেবের হাতে তুলে দেন। তিনি জানিয়েছেন, কলকাতা ও সংলগ্ন অঞ্চলে সিইএসসি’র গ্রাহকদের মধ্যে হিন্দিভাষী মানুষের সংখ্যাও যথেষ্ট হওয়ায়, হিন্দিতেও বিল ছাপাবে মহানগরের বিদ্যুৎ সরবরাহকারী সংস্থা।
আঞ্চলিক ভাষায় বিল পেতে হলে গ্রাহকদেরই জানাতে হবে নিজেদের পছন্দের কথা। সংস্থার তরফে জানানো হয়েছে, সিইএসসি’র ওয়েবসাইটে ঢুকে নির্দিষ্ট ভাষা পছন্দ করা যাবে। গ্রাহক এক বার নিজের পছন্দের ভাষার কথা ওয়েবসাইটের মাধ্যমে কর্তৃপক্ষকে জানানোর পর থেকেই, তাঁর পছন্দের ভাষাতে বিল পাঠানো হবে তাঁর কাছে।
এ বার পুজোয় কলকাতার ৩৭৮০টি মণ্ডপ সিইএসসি’র কাছ থেকে বিদ্যুৎ নিচ্ছে বলে সঞ্জীব গোয়ঙ্কা জানিয়েছেন। পরিষেবা নির্বিঘ্ন রাখতে সব রকম ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে বলেও তিনি জানান। মহানবমীতে শহরে বিদ্যুতের চাহিদা সবচেয়ে বেড়ে ১৯০০ মেগাওয়াটে পৌঁছতে পারে বলে সিইএসসি মনে করছে।