Advertisement
E-Paper

‘স্বচ্ছ’ পথে লাইসেন্স, বসছে ক্যামেরা

বুধবার পরিবহণ দফতর থেকে এমনই নির্দেশ গিয়েছে রাজ্যের ১৫টি রিজিওনাল ট্রান্সপোর্ট অফিসে (আরটিও)।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ ০২:১৮
প্রতীকী ছবি।

প্রতীকী ছবি।

শুধু এক জন পরীক্ষকের হাতে থাকছে না আর লাইসেন্সপ্রাপ্তির নিয়ম। এ সংক্রান্ত দুর্নীতি ঠেকাতে এ বার থেকে ড্রাইভিং লাইসেন্স এবং গাড়ির ফিটনেস সার্টিফিকেট দেওয়ার আগে পর্যবেক্ষণ হবে ক্লোজড সার্কিট ক্যামেরার মাধ্যমে।

বুধবার পরিবহণ দফতর থেকে এমনই নির্দেশ গিয়েছে রাজ্যের ১৫টি রিজিওনাল ট্রান্সপোর্ট অফিসে (আরটিও)। জানানো হয়েছে, আগামী ১৫ দিনের মধ্যেই এই ব্যবস্থা চালু হবে। ফলে সিসি ক্যামেরা বসানোর কাজ শেষ করে ফেলতে হবে দ্রুত। দফতর সূত্রে খবর, এর জন্য প্রয়োজনীয় পরিকাঠামো তৈরি করতে পাঁচ কোটি টাকা খরচ হচ্ছে। ইতিমধ্যেই হাওড়ার সাঁতরাগাছি সরকারি বাস টার্মিনাসে এই পদ্ধতিতে লাইসেন্স এবং গাড়ির ফিট সার্ফিকেট দেওয়ার জন্য পরীক্ষা নেওয়ার কাজ শুরু হয়ে গিয়েছে। কলকাতা শহরে প্রথম দফায় বেলতলা, কসবা এবং সল্টলেকের পাবলিক ভেহিক্‌লস অফিসে সিসি ক্যামেরা বসানোর কাজ চালু হচ্ছে। ধীরে ধীরে রাজ্যের ৫১টি রিজিওনাল ট্রান্সপোর্ট (আরটিও) অফিসের চত্বরে এই ক্যামেরা বসবে। পরিবহণ দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, ‘সেফ ড্রাইভ সেভ লাইফ’ প্রকল্পের অংশ হিসেবেই এই কাজটি হাতে নেওয়া হয়েছে।

বেশ কিছু দিন ধরেই লাইসেন্স দেওয়া নিয়ে নানা দুর্নীতির কথা উঠেছে। পুরনো গাড়িকে ফিটনেস সার্টিফিকেট পাইয়ে দেওয়া এবং কাঁচা হাতের চালককেও লাইসেন্স পাইয়ে দেওয়াকে ঘিরে দালালচক্রের অভিযোগ বারবার উঠে এসেছে। পরিবহণ দফতরের এক কর্তা বলেন, ‘‘সিসি ক্যামেরায় পর্যবেক্ষণ করে লাইসেন্স দেওয়া হলে সব দুর্নীতি নিয়ন্ত্রণ করা যাবে।’’ পরিবহণ আইন অনুযায়ী, গাড়ির অবস্থা ভাল না হলে সেই গাড়িকে ফিট সার্টিফিকেট দেওয়া হবে না। পরিবহণ কর্তাদের বক্তব্য, এ বার থেকে সে দিকে আরও ভাল ভাবে নজর দেওয়া যাবে। এর ফলে গাড়ির এবং চালকের মানের উন্নতি হবে। দুর্ঘটনাও কমবে।

তবে কি এত দিন খারাপ গাড়িকেও সার্টিফিকেট দেওয়া হত, এই ব্যবস্থা ঘোষণার পরে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে তা নিয়ে। উত্তরে এক পরিবহণ কর্তার বক্তব্য, দিন দিন গাড়ির সংখ্যা বাড়ছে। প্রতি দিন নতুন নতুন চালকের লাইসেন্স দেওয়া হচ্ছে। অভিজ্ঞ কর্মীদের পাশাপাশি উন্নত প্রযুক্তির ব্যবহার করলে পরিস্থিতির উন্নতি হবে। সিসি টিভি-তে পুরো বিষয়টি ধরা থাকবে। প্রয়োজনে পরেও সেই ছবি দেখা যাবে।

পরিবহণ দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, দুর্ঘটনা ঠেকাতে রাস্তায় রাস্তায় পুলিশের পক্ষ থেকে সিসি ক্যামেরা বসানোর কাজ নিয়মিত চলছে। রাস্তায় নজরদারিও বাড়ানো হয়েছে। রেষারেষি করে গাড়ি চালালে জরিমানা করা হচ্ছে। তবে যত দিন না লাইসেন্স নিয়ে কড়াকড়ি হবে, ততদিন দুর্ঘটনা সম্পূর্ণ ভাবে আটকানো যাবে না বলেই মত পরিবহণ কর্তাদের। তাঁদের বক্তব্য, কারও হাত গাড়ি চালানোর জন্য উপযুক্ত, তা ক্যামেরায় দেখলে ভাল করে বোঝা যাবে।

Closed circuit camera Driving license ক্লোজড সার্কিট ক্যামেরা
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy