কেন্দ্রীয় শুল্ক দফতরের গোয়েন্দারা হানা দিয়েছিলেন ঠিকই, কিন্তু নগদ টাকা বাজেয়াপ্ত করার কোনও উদ্দেশ্য তাঁদের ছিল না। অথচ, সেই অফিসারদের ভয়েই বেন্টিঙ্ক স্ট্রিটের একটি বহুতলের ছ’তলার অফিস থেকে বুধবার গোছা গোছা টাকা ফেলা হয়েছিল নীচে। যা নিয়ে শোরগোল পড়ে যায় চার দিকে।
দুপুরে এমন সময়ে ওই টাকা ফেলা হয়, যখন কেন্দ্রীয় শুল্ক দফতরের গোয়েন্দারা, ‘ডিরেক্টরেট অব রেভিনিউ ইন্টেলিজেন্স’ (ডিআরআই)-এর তিন অফিসার ওই বাড়ির ছ’তলায় বসে। বাইরে যে টাকার ‘বৃষ্টি’ হচ্ছে, তা তাঁরা জানতেও পারেননি। বাইরে থেকে যাঁরা মজা দেখছিলেন, তাঁদেরই এক জন ডিআরআই দফতরকে ফোন করে বিষয়টি জানান।
ইতিমধ্যে টিভির পর্দাতেও টাকার বৃষ্টি দেখানো শুরু হয়ে গিয়েছে। ডিআরআই সূত্রের খবর, জাতীয় কয়েকটি চ্যানেলেও সেই খবর সম্প্রচারিত হতে শুরু করে। খবর ছড়িয়ে পড়ে সারা দেশে। দিল্লিতে বসে ডিআরআই-এর কর্তা-ব্যক্তিরা বিষয়টি জানতে পারেন। উপর থেকে নির্দেশ আসে কলকাতায়। আরও চার অফিসার ছোটেন বেন্টিঙ্ক স্ট্রিটে। সারা সন্ধ্যা তল্লাশি চালিয়ে সেই অফিস থেকে সাত-আট লক্ষ নগদ টাকা বাজেয়াপ্ত করা হয়। গভীর রাত পর্যন্ত সেই রিপোর্ট তৈরি করে পাঠানো হয় দিল্লিতে। তবে লুকিয়ে মাটিতে ফেলে দেওয়া টাকা কোথায় গেল, সে বিষয়ে ডিআরআই কিছু জানে না বলেই দাবি করা হয়েছে।