প্রতীকী ছবি।
বৃষ্টির জেরে রাস্তায় জল জমা নিয়ে বামেদের অভিযোগ ছিলই। বৃহস্পতিবার পুর অধিবেশনে তা নিয়ে বাম কাউন্সিলরেরা সরব হতেই ফুঁসে উঠলেন মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায়। বললেন, ‘‘বর্ষণমুখর দিনেও তো আপনারা নিশ্চিন্তে পুর ভবনে এসে অধিবেশনে যোগ দিতে পেরেছেন। অথচ, আপনাদের আমলে এই বৃষ্টিতেই রাস্তায় নৌকা নামাতে হত। এলাকা ছেড়ে বেরোতে পারতেন না কাউন্সিলরেরা। আপনাদের এক মেয়রকে তো হাইকোর্ট থেকে পুরভবনে আসতেই হিমশিম খেতে হত।’’ সেখানেই থামেননি তিনি। বলেছেন, ‘‘সংবাদমাধ্যমও সকালে বা দুপুরে জল জমার ছবি তুলে সন্ধ্যায় তা দেখাতে পারে না। কারণ, তত ক্ষণে জল নেমে যায়।’’
যদিও মেয়রের ওই বক্তব্য সম্পর্কে সিপিএম কাউন্সিলর মৃত্যুঞ্জয় চক্রবর্তী বলেন, ‘‘পুর বোর্ডের কর্তারা অবাস্তব কথা বলছেন। বেহালায় মেয়রের বিধানসভা এলাকার অনেক ওয়ার্ডে জল জমে থাকে। এখনও আছে।’’
এ দিন ছিল পুরসভার মাসিক অধিবেশন। সেখানে জল জমা এবং নিকাশির দুরবস্থা নিয়ে গোটা কয়েক প্রশ্ন ও প্রস্তাব ছিল বাম কাউন্সিলর দেবাশিস মুখোপাধ্যায় ও কংগ্রেস কাউন্সিলর প্রকাশ উপাধ্যায়ের। মৃত্যুঞ্জয়বাবুর প্রশ্ন ছিল, জল জমা থেকে পরিত্রাণ পেতে কী ব্যবস্থা নিয়েছে পুর প্রশাসন? জবাবে নিকাশি দফতরের মেয়র পারিষদ তারক সিংহ বলেন, ‘‘দু’-একটি পকেট ছাড়া কোথাও জল জমেনি। কলকাতার কোনও রাস্তা বন্ধ নেই। বন্ধ হয়নি গাড়ি চলাচলও।’’ তিনি জানান, বুধবার রাত থেকে বৃহস্পতিবার দুপুর পর্যন্ত গড়ে ১০০ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। ওই বক্তব্যের বিরোধিতায় চিৎকার শুরু করেন বিরোধীরা। এর পরেই মেয়রের জল জমার তত্ত্ব খারিজ করতে চেঁচাতে থাকেন বামেরা। তাতে বক্তৃতা না থামিয়ে গলার জোর বাড়ান মেয়রও। চলে বাদানুবাদ। চেয়ারপার্সন মালা রায় পরিস্থিতি সামাল দেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy