প্রতীকী ছবি।
মাস দেড়েক আগে যেখানে দৈনিক আক্রান্ত দশের কমে নেমে গিয়েছিল, এখন সেখানে দৈনিক আক্রান্ত ৩০০ ছুঁইছুঁই। দোকান-বাজার, রেস্তরাঁ, শপিং মলে তাই করোনা-বিধি মেনে চলার জন্য নতুন করে নোটিস পাঠাচ্ছে বিধাননগর পুরসভা।
সংলগ্ন দক্ষিণ দমদম পুর এলাকাতেও দৈনিক সংক্রমিত শতাধিক। সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউয়ের সেই পরিসংখ্যানের দিকে নজর রেখেই বৃহস্পতিবার থেকে রবীন্দ্র ভবনে সেফ হোম চালু করেছে ওই পুরসভা। ৪০ শয্যার ওই সেফ হোমে ছ’জনকে পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে। পাশাপাশি দক্ষিণদাঁড়িতে আরও একটি ৪০ শয্যার আগের সেফ হোমকে পুনরায় চালু করা নিয়ে ভাবনাচিন্তা শুরু করেছে পুর প্রশাসন। করোনা সংক্রমণ দ্রুত ছড়িয়ে পড়ায় দুই পুর প্রশাসনের উদ্বেগ বাড়াচ্ছে।
বিধাননগর পুরসভা সূত্রের খবর, বর্তমানে পুর এলাকার অ্যাক্টিভ রোগীর সংখ্যা প্রায় আড়াই হাজার। চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে এখনও পর্যন্ত পাঁচ হাজারের বেশি বাসিন্দা করোনায় সংক্রমিত হয়েছেন। গত বছর থেকে পুর এলাকায় মোট সংক্রমিত প্রায় ২৫ হাজার। সংক্রমণের শুরুর পর্ব থেকে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত করোনায় মৃত্যু হয়েছে ১২৭ জনের। যার মধ্যে চলতি বছরেই মৃত্যু হয়েছে ২৩ জনের। পুরসভার দাবি, সুস্থ হওয়ার হার ৯২ শতাংশের বেশি।
এক পুরকর্তার কথায়, বাজার, রেস্তরাঁ, মলে ক্রেতা-বিক্রেতা সকলের মাস্ক পরা আবশ্যিক। অন্যান্য করোনা-বিধিও মেনে চলতে হবে। এই বার্তা দিয়ে নতুন করে নোটিস পাঠানো হচ্ছে। চলছে নজরদারিও। ওয়ার্ড জীবাণুমুক্ত করা এবং অটোয় করে সচেতনতার প্রচার আবার শুরু করেছে বিধাননগর পুরসভা।
পুর কর্তৃপক্ষ জানাচ্ছেন, বিধাননগর পুর এলাকায় সরকারি এবং বেসরকারি মিলিয়ে ৫০ হাজারেরও বেশি বাসিন্দা প্রতিষেধক নিয়েছেন। যার মধ্যে পুরসভার ব্যবস্থাপনায় ২৩ হাজারের মতো মানুষকে প্রতিষেধক দেওয়া হয়েছে। ইতিমধ্যেই তিন হাজার মানুষ প্রতিষেধকের দ্বিতীয় ডোজ় নিয়েছেন।
দক্ষিণ দমদম পুরসভার বিদায়ী চেয়ারম্যান পারিষদ প্রবীর পাল জানান, বৃহস্পতিবার থেকেইরবীন্দ্র ভবনের সেফ হোম চালু হয়েছে। প্রথমে ছ’জন সেখানে পর্যবেক্ষণে রয়েছেন। জনবহুল স্থানে করোনা-বিধি মেনে চলা, জীবাণুমুক্ত করা ও সচেতনতার প্রচারে বিশেষ জোর দেওয়া হয়েছে।
তবে দক্ষিণ দমদম অথবা বিধাননগর প্রশাসন যতই দাবি করুক, দুই পুর এলাকার রাস্তাঘাটে, বাজারে এখনও বহু মানুষকে মাস্ক ছাড়াই দেখা যাচ্ছে। যার প্রেক্ষিতে বাসিন্দাদের একটি অংশের মত, আবেদনে নিবেদনে আর কিছু হবে না। এ বার কড়া পদক্ষেপ করুক প্রশাসন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy