দখল: রাস্তা আটকে চলছে কাউন্সিলরের স্মরণসভার প্রস্তুতি। মঙ্গলবার দুপুরে, বাঙুরে। নিজস্ব চিত্র
তৃণমূল কাউন্সিলরের স্মরণসভার জন্য গত দু’দিন ধরে বাঙুরের ব্যস্ততম রাস্তা অবরুদ্ধ রাখার অভিযোগ উঠল শাসক দলের বিরুদ্ধে। স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, মূল রাস্তা বন্ধ থাকায় চরম দুর্ভোগের শিকার হয়েছেন সাধারণ মানুষ। একই সঙ্গে পুলিশ প্রশাসনের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে।
গত ২৬ জুন গভীর রাতে হৃদ্রোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয় দক্ষিণ দমদম পুরসভার ২৯ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর দীপ্তি রায়ের। মৃত কাউন্সিলরের স্মৃতির উদ্দেশে বাঙুরে যে স্মরণসভা হবে তা সে দিনই ঘোষণা করেছিলেন স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব। মঙ্গলবার বিধাননগর বিধানসভা তৃণমূলের উদ্যোগে সন্ধ্যায় স্মরণসভার আয়োজন করা হয়েছিল। স্থানীয় সূত্রের খবর, সোমবার থেকে সে জন্য বাঙুর অ্যাভিনিউয়ে ‘কলকাকলি’ মুক্তমঞ্চ সংলগ্ন রাস্তা আটকে মণ্ডপ বাঁধার কাজ শুরু হয়। যার জেরে বাঙুরের ‘এ’ ও ‘বি’ ব্লকের একাধিক রাস্তায় যানজট তৈরি হয়।
বাঙুর অ্যাভিনিউয়ের ওই রাস্তা প্রায় ২৫ ফুট চওড়া। যশোর রোড এবং ভিআইপি রোডের মধ্যে সংযোগকারী রাস্তা হিসাবে বাঙুর অ্যাভিনিউয়ের গুরুত্ব অপরিসীম। অভিযোগ, সেই রাস্তা জুড়ে ৬০ ফুট লম্বা এবং ৩০ ফুট চওড়া মঞ্চের জেরে বাঙুরবাসী যেমন দুর্ভোগের মুখে পড়েন তেমনই ভিআইপি এবং যশোর রোডের উপরেও তার প্রভাব পড়ে। বাঙুরের ‘বি’ ব্লকের এক বাসিন্দা বলেন, ‘‘যানজটে স্কুলের বাচ্চাগুলো দীর্ঘক্ষণ গাড়ির মধ্যে আটকে ছিল।’’ ‘এ’ ব্লকের এক বাসিন্দার প্রশ্ন, ‘‘স্মরণসভা তো ‘এ’ ব্লকের মাঠে বা কলকাকলির ভিতরেও হতে পারত। রাস্তা আটকে মঞ্চ কেন?’’
এরই মধ্যে রাস্তা দখলমুক্ত করতে বিধাননগর কমিশনারেট কেন পদক্ষেপ করল না সেই প্রশ্ন তুলেছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। তাঁদের বক্তব্য, একটা প্রধান রাস্তা দু’দিন ধরে আটকে রাখা হল অথচ পুলিশ-প্রশাসনের কোনও ভূমিকা চোখে পড়ল না। বিধাননগর কমিশনারেটের এক কর্তা বলেন, ‘‘বিষয়টি নিয়ে থানার সঙ্গে কথা বলব।’’
স্থানীয় তৃণমূল বিধায়ক সুজিত বসু বলেন, ‘‘দু’দিন ধরে রাস্তা বন্ধ রাখার অভিযোগ ভিত্তিহীন। সোমবার রাত থেকে মণ্ডপ বাঁধার কাজ শুরু হয়েছে। এত বড় মঞ্চ তৈরি করতে সময় তো লাগবেই। যানজট, দুর্ভোগের যে বিবরণ দেওয়া হচ্ছে তা ঠিক নয়। এক ঘণ্টার জন্য সন্ধ্যায় স্মরণসভা হয়েছে। সেই সময় সাধারণ মানুষের
সাময়িক অসুবিধা হয়েছে।’’ রাতের মধ্যেই মঞ্চ খুলে ফেলা হবে বলে জানান তিনি। রাস্তার পরিবর্তে বাঙুরের অন্যত্র স্মরণসভা করা প্রসঙ্গে সুজিত বলেন, ‘‘সভায় প্রচুর মানুষের সমাগম হয়েছিল। অত মানুষের সমাগমের মতো জায়গা ছিল না। সাধারণ মানুষ চেয়েছিলেন বলে রাস্তায় স্মরণসভা করতে হয়েছে। পুলিশকে জানিয়েই মঞ্চ তৈরি করা হয়েছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy