বিভিন্ন বেসরকারি সংস্থার নামে কয়েকটি করে কারেন্ট অ্যাকাউন্ট খুলে কোটি কোটি টাকা জমা করা হয়েছিল। অথচ সেই সব সংস্থার অস্তিত্বই খুঁজে পাচ্ছে না পুলিশ।
রাজারহাটের চিনার পার্কের একটি ব্যাঙ্কে গ্রাহকদের না জানিয়ে তাঁদের নামে অ্যাকাউন্ট খুলে টাকা জমা করার ঘটনার তদন্তে নেমে এমনই ভুতুড়ে কিছু সংস্থার নাম উঠে এসেছে পুলিশের হাতে। ওই ঘটনায় ইতিমধ্যেই বিধাননগর পুলিশ প্রাক্তন ম্যানেজার মধুসূদন গ্রান্ধিকে গ্রেফতার করেছে। তাঁকে জেরা করতেই কপালের ভাঁজ বেড়েছে পুলিশের।
পুলিশ সূত্রের খবর, তদন্তে নেমে দেখা গিয়েছে একাধিক বেসরকারি সংস্থার নামে ওই রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের রাজারহাট শাখায় কোটি কোটি টাকা জমা করা হয়েছিল। আদতে সেই সংস্থাগুলির কোনও অস্তিত্বই নেই বলেই মনে করছে পুলিশ।
তবে কী ভাবে ওই সব বেসরকারি সংস্থার ট্রেড লাইসেন্স হল? তা জানতে কলকাতা পুরসভাকে চিঠি পাঠাবে পুলিশ।
পুলিশ সূত্রের দাবি, তদন্তে দেখা গিয়েছে, ওই রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের ওই শাখায় মোট ৭৪টি অ্যাকাউন্ট খোলা হয়েছিল। এর মধ্যে কয়েকটি খোলা হয় ২৩-২৪ অক্টোবর, তার পরে ৯-১০ নভেম্বর খোলা হয়েছে আরও কয়েকটি। বাকিগুলি খোলা হয় ডিসেম্বরে। এই তদন্তের সূত্রে পুলিশ জেনেছে, কলকাতার একটি ব্যাঙ্কেও এমন কিছু অ্যাকাউন্ট খোলা হয়।
দু’টি ব্যাঙ্কের ওই সব ভুয়ো অ্যাকাউন্টে এখনও ১০০ কোটির বেশি টাকা জমা আছে। সূত্রের খবর, জেরায় মধুসূদন দাবি করেছেন, নভেম্বর থেকে ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত কারেন্ট অ্যাকাউন্ট খোলার লক্ষ্যমাত্রা থাকে। তাই অ্যাকাউন্ট খোলা হয়েছিল। কিন্তু তথ্য যাচাই না-করে কেন অ্যাকাউন্ট খোলা হল, তার জবাব দিতে পারেননি মধুসূদন।
বেসরকারি সংস্থা ছাড়াও যে সব ব্যক্তির নামে অ্যাকাউন্ট খোলা হয়েছিল, তাঁরা অবশ্য এ সব কিছু জানেন না বলে জানিয়েছে পুলিশকে। পুলিশের অনুমান, এর পিছনে বড়সড় চক্র আছে। এই ঘটনায় সিন্ডিকেটের কোনও যোগ আছে কি না, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy