সাহিত্যিক তিলোত্তমা মজুমদারের ওয়টস্যাপ নম্বর হ্যাক হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। হ্যাক হওয়া সেই নম্বর থেকে তিলোত্তমার বিভিন্ন পরিচিত জনের কাছে মেসেজ পাঠিয়ে টাকা চাওয়া হয়েছে বলেও অভিযোগ। সাহিত্যিক জানিয়েছেন, তিনি বিধাননগর সাইবার ক্রাইম থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন।
সোমবার তিলোত্তমা বলেন, ‘‘রবিবার রাতে আমি দেখি, আমার ওয়টস্যাপ লগ আউট হয়ে গিয়েছে। আমি কখনও ওয়টস্যাপ থেকে লগ আউট করি না। আবার লগ ইন করতে যাই। কিছু প্রক্রিয়ার পরে ওয়টস্যাপ ফের চালু হয়। কিন্তু সোমবার সকালে উঠে দেখি, ওয়টস্যাপ আবার লগ আউট হয়ে গিয়েছে। তার পরে ভোর থেকে দেখছি, আমার অন্য একটি নম্বরে ফোন করে পরিচিতেরা বলছেন, আমার ওয়টস্যাপ থেকে তাঁদের কাছে মেসেজ গিয়েছে যে, আমার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে একটা সমস্যা হচ্ছে। বিশেষ প্রয়োজনে টাকার দরকার। ওয়টস্যাপ মেসেজে যে টাকা চাওয়া হয়েছে, তা তাঁরা পাঠিয়েও দিয়েছেন। তখনই বুঝলাম যে, আমার ওই ওয়টস্যাপ নম্বর হ্যাক হয়েছে।’’ তিলোত্তমা জানান, তিনি সঙ্গে সঙ্গে তাঁর পরিচিতদের তাঁর অন্য নম্বর থেকে মেসেজ করে জানিয়ে দেন যে, ওই টাকা তিনি চাননি। তাঁরা যেন কেউ টাকা না পাঠান। এর পরে পুলিশের সাইবার ক্রাইম থানায় অভিযোগ দায়ের করেন সাহিত্যিক। কিন্তু তত ক্ষণে বেশ কয়েক জন তাঁর সেই হ্যাক হওয়া নম্বরে টাকা পাঠিয়ে সেই স্ক্রিনশট তাঁর অন্য নম্বরে পাঠিয়ে দিয়েছেন।
মেসেজ করে যাঁদের কাছে টাকা চাওয়া হয়েছিল, তাঁদের এক জন জানালেন, সোমবার সকালে তিলোত্তমার নম্বর থেকে ১৫ হাজার টাকা চেয়ে তাঁর কাছে মেসেজ আসে। সেই মেসেজ দেখে তাঁর সন্দেহ হয়। তিনি তিলোত্তমাকে ফোন করতেই সাহিত্যিক তাঁকে কোথাও টাকা না পাঠাতে বলেন। সাইবার বিশেষজ্ঞদের অনুমান, তিলোত্তমার ওয়টস্যাপ নম্বরের সিমটি হ্যাকারেরা ব্লক করে ওই একই নম্বরের নতুন সিম জোগাড় করেছে। তার পরে সেই নম্বরে ওয়টস্যাপ চালু করে মেসেজ করেছে। এখানেই প্রশ্ন উঠেছে, নতুন সিম নিতে গেলে যে নথি লাগে, তা-ও কি জাল করেছিল হ্যাকাররা? সাইবার ক্রাইম থানার আধিকারিকেরা জানান, তাঁরা পুরো ঘটনার তদন্ত করে দেখছেন।
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)