প্রতীকী ছবি।
ভারতীয় মুদ্রায় প্রায় তিন কোটি টাকারও বেশি নিয়ে বাংলাদেশ যাওয়ার পথে গত বৃহস্পতিবার কলকাতা বিমানবন্দরে ধরা পড়লেন আট যুবক। দু’জনকে ছেড়ে দিলেও ছ’জনকে গ্রেফতার করেছে ডিরেক্টরেট অব রেভেনিউ ইন্টেলিজেন্স (ডিআরআই)। ধৃতেরা বাংলাদেশের বাসিন্দা বলে বারাসত আদালত সূত্রের খবর।
কয়েক বছর ধরে বাংলাদেশ থেকে সোনা পাচার হয়ে আসছে ভারতে। উত্তর ২৪ পরগনার সীমান্ত দিয়ে সেই সোনা ঢুকে কলকাতা হয়ে দেশে ছড়িয়ে পড়ছে। মাঝেমধ্যেই হানা দিয়ে এমন চোরাই সোনা বাজেয়াপ্ত করে ডিআরআই। পাচারে জড়িত সন্দেহে ব্যক্তিদের ধরাও হয়। তবে গোয়েন্দারাই স্বীকার করে নিয়েছেন, চোরাপথে আসা সোনার তুলনায় খুব কম পরিমাণই ধরা পড়ছে।
গোয়েন্দারা দেখেছেন, পাচারে ধৃতদের কাজ শুধু এক জায়গা থেকে অন্যত্র সোনা পৌঁছে দেওয়া। গত সপ্তাহেই সল্টলেকের একটি অটো থেকে চোরাই সোনা বাজেয়াপ্ত করেছিল ডিআরআই। বাংলাদেশ সীমান্ত থেকে সেই সোনা সল্টলেকে এনেছিলেন তিন গৃহবধূ। সেই সোনা তাঁরা নির্দিষ্ট অটোয় উঠে চালকের হাতে তুলে দেন। ডিআরআই জেনেছে, ওই সোনা বড়বাজারের এক ব্যবসায়ীকে দেওয়ার কথা ছিল চালকের।
এ ভাবে সোনা পাচারের জন্য অটোচালক বা মহিলাদের কিছু ‘কমিশন’ দেওয়া হয়। চোরাই সোনা বিক্রির টাকা উল্টো পথে বাংলাদেশে পৌঁছে দিতে নিযুক্ত রয়েছেন অন্য একদল লোক। ডিআরআই মনে করছে, বৃহস্পতিবার বিমানবন্দরে ধৃতেরা ভারত থেকে চোরাই সোনা বিক্রির টাকা নিয়ে ফিরছিলেন। তাঁদের কাছে টাকা ছাড়াও মার্কিন ও কানাডিয়ান ডলার ছিল।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy