Advertisement
০২ মে ২০২৪
Durga Puja 2021

Durga Puja 2021: টানা দুর্যোগে কাজ শেষ করা নিয়ে চিন্তায় কুমোরটুলি

শিল্পীদের এখন একটাই চিন্তা, করোনা পরিস্থিতিতে যেটুকু কাজ তাঁরা পেয়েছেন, সেটুকুও পুজোর আগে শেষ হবে তো?

স্তব্ধ: প্রবল বৃষ্টির জেরে কাজ থমকে গিয়েছে কুমোরটুলিতে। সোমবার।

স্তব্ধ: প্রবল বৃষ্টির জেরে কাজ থমকে গিয়েছে কুমোরটুলিতে। সোমবার। ছবি: সুদীপ্ত ভৌমিক

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ২১ সেপ্টেম্বর ২০২১ ০৭:০৭
Share: Save:

পুজোর বাকি আর ২০ দিন মতো। কিন্তু বার বার টানা বৃষ্টির মুখে সময়ে কাজ শেষ হওয়া নিয়ে চিন্তার ভাঁজ কুমোরটুলির শিল্পীদের কপালে।

দুর্যোগের পূর্বাভাস ছিল শনিবার ও রবিবার। দু’-এক পশলা বৃষ্টি হলেও শনি ও রবিবার তেমন দুর্যোগের মধ্যে পড়তে না হওয়ায় শিল্পীরা ভেবেছিলেন, এ যাত্রা বোধহয় ফাঁড়া কাটল। কিন্তু রবিবার সারা রাত ও সোমবার দিনভর দুর্যোগে ফের কুমোরটুলির শিল্পীদের দুশ্চিন্তা বেড়ে গেল। শিল্পীদের এখন একটাই চিন্তা, করোনা পরিস্থিতিতে যেটুকু কাজ তাঁরা পেয়েছেন, সেটুকুও পুজোর আগে শেষ হবে তো?

সোমবার বিকেলে নিজের গোলায় প্রতিমায় রং করার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন অপূর্ব পাল। সেই কাজ করতে করতে অপূর্ব বলেন, ‘‘কুমোরটুলির নিকাশি ব্যবস্থা খুব ভাল। এত বৃষ্টিতে জল জমেনি ঠিকই, কিন্তু সেটাই তো সব নয়। আমরা তো এই টানা বৃষ্টিতে কাজই করতে পারছি না। মাটি শুকোচ্ছে না। এমনকি খড়ও ভেজা। এই ভেজা খড়ে মাটি চাপাব কী করে! চাতক পাখি মেঘের জন্য আকুল হয়, আর আমরা একটু রোদের জন্য ব্যাকুল।’’

কুমোরটুলির শিল্পীদের একাংশ জানাচ্ছেন, সোমবার দিনভর বৃষ্টির জন্য কাজ কার্যত কিছুই হয়নি। পুজোর দোরগোড়ায় এসে প্রতিটি দিন তাঁদের কাছে খুবই মূল্যবান।

শিল্পীদের কয়েক জনের প্রশ্ন, ফের নাকি দুর্যোগের সতর্কতা জারি হয়েছে? তা হলে কাজ শেষ হবে কী করে?

কুমোরটুলির আর এক শিল্পী মন্টু পাল বলেন, ‘‘আমাদের সবার গোলার অবস্থা সমান নয়। কারও কারও গোলা দিয়ে বৃষ্টির জলও ঢোকে। কত আর ঢেকে প্রতিমা তৈরি করব? বৃষ্টির মধ্যে এক গোলা থেকে আর এক গোলায় গিয়ে কাজেরও অসুবিধা হয়।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Durga Puja 2021 rainfall
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE