বর্ধমান বিস্ফোরণ-কাণ্ডের পরে যখন রাজ্যের নিরাপত্তা ও অনুপ্রবেশ নিয়ে প্রশাসনিক মহল সরগরম, তখনই এক ব্যাঙ্ক জালিয়াত চক্রের কাছে মিলল রাজ্যের পরিবহণ সচিবের জাল স্ট্যাম্প। তদন্তে জানা গেল, নাগরিক হওয়ার সূত্রে চক্রের এক চাঁইয়ের বাংলাদেশে নিয়মিত যাতায়াত ছিল এবং সেখান থেকে লোকজনকে এ রাজ্যে নিয়ে এসে জাল পরিচয়পত্র তৈরি করিয়ে দিত সে।
স্বাভাবিক ভাবেই বর্ধমান কাণ্ড নিয়ে তোলপাড় চলার সময়ে এই তথ্য রাজ্য সরকারের উদ্বেগ বহু গুণ বাড়িয়ে দিয়েছে। প্রশ্ন উঠেছে সুরক্ষা নিয়ে। পাশাপাশি সন্দেহ, এই চক্রের মাধ্যমে কিছু অনুপ্রবেশকারী এ রাজ্যে ঢুকে থাকতে পারে।
রাজারহাটে একটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কে প্রতারণার তদন্তে গিয়ে পরিবহণ সচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়ের ওই জাল রবার স্ট্যাম্প মেলে। সচিবের জাল প্যান কার্ড, আধার কার্ড, ড্রাইভিং লাইসেন্স, চেকবুক, ডেবিট কার্ডের নকল চিপও উদ্ধার হয়েছে তল্লাশিতে। এই ঘটনায় চার ধৃতের মধ্যে মূল চক্রীই বাংলাদেশের ওই নাগরিক বলে পুলিশ জানিয়েছে। বর্ধমান বিস্ফোরণ কাণ্ডের ক্ষেত্রেও ভুয়ো পরিচয়পত্র তৈরি করে এ রাজ্যে অনুপ্রবেশের সূত্র পেয়েছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা। ফলে রাজারহাটের ওই প্রতারণা চক্রের বাংলাদেশ যোগসূত্র বাড়তি মাত্রা দিয়েছে বলে মনে করছেন গোয়েন্দারা। যেহেতু খোদ রাজ্যের শীর্ষ স্তরের আধিকারিকদের রবার স্ট্যাম্প নকল করা হচ্ছে, সে ক্ষেত্রে প্রশাসনের নজরদারি নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে।