Advertisement
E-Paper

কসবায় ডেঙ্গি, এক দিনেই মৃত বাবা-ছেলে

এ দিন বাবা-ছেলের মৃত্যুর খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে যান পুরসভার স্বাস্থ্য দফতরের কর্মীরা। ওই দফতরের এক আধিকারিক জানান, বাবা-ছেলে গত সপ্তাহেই চেন্নাই থেকে ফিরেছেন। এখন চেন্নাইয়ে খুব ডেঙ্গি হচ্ছে।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৮ সেপ্টেম্বর ২০১৭ ০৪:৫৯

এক দিনে শহরের দু’টি হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন বাবা আর ছেলে। ডেঙ্গির থাবায় একই দিনে (বৃহস্পতিবার) মৃত্যু হল তাঁদের।

পুলিশ জানায়, মৃতদের নাম সিদ্ধার্থ ঘোষ (৫৩) ও দীপ ঘোষ (১২)। দীপ পার্ক সার্কাসের এক হাসপাতালে এবং সিদ্ধার্থবাবু বাইপাসে একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন। কসবার বিজন সেতুর কাছে কেআইটি আবাসনে স্ত্রী ও ছেলেকে নিয়ে থাকতেন বঙ্গবাসী কলেজের কর্মী সিদ্ধার্থবাবু। দীপ কসবার চিত্তরঞ্জন উচ্চ বিদ্যালয়ে সপ্তম শ্রেণিতে পড়ত।

পারিবারিক সূত্রের খবর, দিন দশেক আগে জ্বরে আক্রান্ত হন সিদ্ধার্থবাবু। শনিবার রামকৃষ্ণ মিশন সেবা প্রতিষ্ঠানে আউটডোরের ডাক্তারের কাছে যান তিনি। তাঁর ভাইঝি পূজা ঘরামি বলেন, ‘‘সোমবার সেবা প্রতিষ্ঠানের রক্তপরীক্ষার রিপোর্টে জানা যায়, জেঠামশাইয়ের ডেঙ্গি হয়েছে। সে-দিনেই তাঁকে বাইপাসের হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়।’’ পূজা জানান, দীপেরও সাত দিন ধরে বারবার জ্বর আসছিল। স্থানীয় চিকিৎসকের পরামর্শে তাকে পার্ক সার্কাসের শিশু হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়।

এ দিন বাবা-ছেলের মৃত্যুর খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে যান পুরসভার স্বাস্থ্য দফতরের কর্মীরা। ওই দফতরের এক আধিকারিক জানান, বাবা-ছেলে গত সপ্তাহেই চেন্নাই থেকে ফিরেছেন। এখন চেন্নাইয়ে খুব ডেঙ্গি হচ্ছে। দুই হাসপাতালের কাগজপত্র শুক্রবার পরীক্ষা করা হবে। তার পরেই পরিষ্কার হবে, বাবা-ছেলের মৃত্যুর কারণ ডেঙ্গি কি না।

পুর অফিসার সংশয় প্রকাশ করলেও হাসপাতালের রিপোর্ট জানাচ্ছে, সিদ্ধার্থবাবুর ডেঙ্গি হয়েছিল। এলাকাবাসী জানাচ্ছেন, প্রতি বছরই ডেঙ্গি থাবা বসায় কসবার কেআইটি আবাসনে। এক আবাসিকের অভিযোগ, ‘‘আবাসনের চার পাশ জল জমে থাকে। নিকাশি ব্যবস্থা ভাল নয়। পুরসভা কোনও কার্যকর ব্যবস্থা নিচ্ছে না।’’ কেআইটি আবাসনে নিকাশির অব্যবস্থার কথা স্বীকার করেছেন স্থানীয় কাউন্সিলর বিজনলাল মুখোপাধ্যায়।

Death Dengue Kasba Father Son ডেঙ্গি সিদ্ধার্থ ঘোষ দীপ ঘোষ
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy