Advertisement
২৯ এপ্রিল ২০২৪
Madhyamik Examination 2024

মাধ্যমিকে উত্তর না বলায় ‘হুমকি ও মার’, ত্রস্ত পড়ুয়ারা

অভিভাবকদের দাবি, অন্য স্কুলের পরীক্ষার্থীদের এই বেনজির গুন্ডামিতে তাঁদের ছেলেরা এতটাই আতঙ্কিত যে, আগামী বৃহস্পতিবার অঙ্ক পরীক্ষা দিতে যেতেও ভয় পাচ্ছে।

An image of Students

— প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ০৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ০৭:৪০
Share: Save:

পরীক্ষা চলাকালীন প্রশ্নের উত্তর না বলায় পরীক্ষার শেষে একটি স্কুলের কয়েক জন পরীক্ষার্থীকে অন্য স্কুলের কিছু পরীক্ষার্থী মারধর করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। প্রহৃত পরীক্ষার্থীদের অভিভাবকেরা জানান, গোলমাল এমন পর্যায়ে পৌঁছয় যে, লেক থানার পুলিশকে এসে হস্তক্ষেপ করতে হয়। শুধু তা-ই নয়, ওই অভিভাবকদের দাবি, অন্য স্কুলের পরীক্ষার্থীদের এই বেনজির গুন্ডামিতে তাঁদের ছেলেরা এতটাই আতঙ্কিত যে, আগামী বৃহস্পতিবার অঙ্ক পরীক্ষা দিতে যেতেও ভয় পাচ্ছে। এ দিকে, যে স্কুলের পড়ুয়ারা মারধর করেছে বলে অভিযোগ, সেই স্কুল কর্তৃপক্ষের দাবি, ওই পড়ুয়ারা এই ঘটনায় জড়িত নয়। মিথ্যা অভিযোগ করা হচ্ছে।

সূত্রের খবর, ঢাকুরিয়ার কাছে সেলিমপুরের অ্যান্ড্রুজ় স্কুলে মাধ্যমিক পরীক্ষার সিট পড়েছে পাঠভবন ও ঢাকুরিয়ার একটি স্কুল-সহ মোট চারটি স্কুলের। অভিযোগ, গত কয়েক দিন ধরেই পরীক্ষা চলাকালীন ঢাকুরিয়ার ওই স্কুলের পরীক্ষার্থীরা পাঠভবনের ছেলেদের কাছে প্রশ্নের উত্তর জানতে চেয়ে তাদের ক্রমাগত উত্ত্যক্ত করে চলেছে। পাঠভবনের ছেলেরা উত্তর না বলায় তাদের রীতিমতো হুমকি দেওয়া হয়েছিল বলেও অভিযোগ। পাঠভবনের পড়ুয়াদের কয়েক জন অভিভাবকের অভিযোগ, এ দিন পরিস্থিতি চরম আকার নেয়। পরীক্ষায় প্রশ্নের উত্তর না বলায় পরীক্ষার শেষে ঢাকুরিয়ার ওই স্কুলের ছেলেরা পাঠভবনের ছেলেদের মারধর করে। যার জেরে পাঠভবনের এক জন পরীক্ষার্থী জখম হয় বলে জানা গিয়েছে। কয়েক জন পরীক্ষার্থীকে শৌচালয়ে পর্যন্ত যেতে দেওয়া হয়নি বলেও অভিযোগ। আরও অভিযোগ, পরীক্ষার শেষে তাদের ফের দেখে নেওয়া হবে বলেও শাসানো হয়েছে।

পাঠভবন স্কুলের এক শিক্ষক বলেন, ‘‘আমাদের স্কুলের পরীক্ষার্থীদের মারধর করা হয়েছে বলে অভিভাবকেরা অভিযোগ করেছেন। তবে সকলেই যে হেতু নাবালক, তাই থানায় কোনও লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়নি।’’ যে স্কুলের পরীক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ, সেটির ভারপ্রাপ্ত শিক্ষক বুদ্ধদেব বসু অবশ্য বললেন, ‘‘আমি এই ঘটনার বিষয়ে প্রথমে কিছুই জানতাম না। আমাদের স্কুলের খুব কাছেই থানা। থানা থেকেও আমাদের কিছু জানানো হয়নি। পরে খোঁজ নিয়ে জানতে পেরেছি, এই গোলমালটা আমাদের স্কুলের পরীক্ষার্থীদের সঙ্গে নয়। ওই স্কুলে সিট পড়া অন্য একটি স্কুলের পরীক্ষার্থীদের সঙ্গে হয়েছে।’’

কলকাতা জেলা স্কুল পরিদর্শকের অফিসের এক কর্তা এ দিন বললেন, ‘‘পরীক্ষা ঘিরে দু’টি স্কুলের পড়ুয়াদের মধ্যে একটা গোলমাল হয়েছে। দু’পক্ষই হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়ে বলে খবর পেয়েছি আমরা। গোলমাল থামাতে অভিভাবকেরা স্কুলের ভিতরে ঢুকে পড়েন বলেও জানা গিয়েছে। এমন ঘটনা যাতে ভবিষ্যতে আর কোনও মতেই না ঘটে, তার জন্য পরবর্তী পরীক্ষাগুলিতে অতিরিক্ত নজরদারির ব্যবস্থা করা হচ্ছে। যারা পরীক্ষা দিচ্ছে, তাদের সকলেরই বয়স কম। পরীক্ষার্থীদের বলা হচ্ছে, তারা যেন অন্য কোনও বিষয়ে মন না দিয়ে শুধু পরীক্ষাতেই মনোনিবেশ করে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE