Advertisement
E-Paper

কেএমডিএ সায় দেয়নি ঢালাইয়ে, দাবি কোর্টে

সকালে পোস্তায় বিবেকানন্দ উড়ালপুলের ৪০ নম্বর স্তম্ভে যাতে ঢালাই করা না হয়, সেই নির্দেশই দেওয়া হয়েছিল কেএমডিএ-র তরফে। বুধবার আদালতে দাঁড়িয়ে এমনই দাবি করলেন কেএমডিএ-র ধৃত এগজিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ার শান্তনু মণ্ডলের আইনজীবী তরুণ বর্মণ।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ৩০ জুন ২০১৬ ০০:৫১

সকালে পোস্তায় বিবেকানন্দ উড়ালপুলের ৪০ নম্বর স্তম্ভে যাতে ঢালাই করা না হয়, সেই নির্দেশই দেওয়া হয়েছিল কেএমডিএ-র তরফে। বুধবার আদালতে দাঁড়িয়ে এমনই দাবি করলেন কেএমডিএ-র ধৃত এগজিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ার শান্তনু মণ্ডলের আইনজীবী তরুণ বর্মণ।

তরুণবাবুর আরও দাবি, যেহেতু কেএমডিএ ঢালাইয়ের কাজ বন্ধ রাখতে বলেছিল, তাই দুর্ঘটনার দিন কেএমডিএ-র তরফে কেউই ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন না।

ওই আইনজীবীর অভিযোগ, কেএমডিএ-র আপত্তি সত্ত্বেও তদারকি সংস্থা (আইভিআরসিএল) ঢালাইয়ের কাজ করছিল।

শান্তনুবাবুর আইনজীবী আদালতে বলেন, ‘‘চার্জশিট জমা হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই আমার মক্কেলকে গ্রেফতার করা হল। উড়ালপুল ভেঙে পড়ার ঘটনায় তাঁর কোনও গাফিলতি নেই। আমার মক্কেল সম্পূর্ণ নির্দোষ। তাঁকে জামিন দেওয়া হোক।’’

উড়ালপুল-কাণ্ডে ধৃত কেএমডিএ-র চিফ ই়ঞ্জিনিয়ার প্রিয়তোষ ভট্টাচার্যের আইনজীবী অমর্ত্য ঘোষ তাঁর মক্কেলের হয়ে সওয়াল করে বলেন, ‘‘এক জন চিফ ইঞ্জিনিয়ার প্রশাসনিক দিকটাই দেখেন। সেতু নির্মাণ করার সময়ে প্রত্যহ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা তাঁর কাজ নয়। এমনকী, সেতু ভেঙে পড়ার আগে ওই অংশে ঢালাই করার কাজ সংক্রান্ত কোনও নোট শিটে তিনি স্বাক্ষরও করেননি। তাঁকে এই মামলায় ফাঁসানো হয়েছে।’’ শান্তনুবাবু এবং প্রিয়তোষবাবুর আইনজীবী এ দিন তাঁদের জামিনের আবেদন করেন।

সরকারি আইনজীবী তমাল মুখোপাধ্যায় জামিনের আবেদনের বিরোধিতা করে বলেন, ‘‘এত তাড়াতাড়ি জামিন দিলে বিচার প্রক্রিয়া ব্যহত হবে। সব পক্ষের সওয়াল শুনে ১৪ নম্বর মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট শুভঙ্কর বিশ্বাস কেএমডিএ-র দুই ইঞ্জিনিয়ারকে ৭ জুলাই পর্যন্ত পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দেন।’’

Flyover collapse KMDA cement concrete
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy