প্রতীকী ছবি।
প্রায় চার ঘণ্টা চুপচাপ বিমানের ভিতরে বসে ছিলেন যাত্রীরা। অপেক্ষায় ছিলেন, কখন পরিষ্কার হবে কাঠমান্ডুর আকাশ। উড়ে যাবেন তাঁরা। কিন্তু দেখা দিল অন্য সমস্যা। যে দুই পাইলট ও ১১ জন বিমানসেবিকা তাঁদের নিয়ে এসেছিলেন, তাঁদের ডিউটির সময় পার হয়ে যায় সন্ধ্যা ছ’টায়। তাই চাইলেও শুক্রবার আর উড়তে পারতেন না তাঁরা। তখন বাধ্য হয়েই বিমান থেকে নামিয়ে আনতে হয় যাত্রীদের।
কলকাতা বিমানবন্দরে শুক্রবার দুপুর থেকে শুরু হওয়া নাটকের শেষ অঙ্ক তখনও বাকি ছিল। ওই বিমানের যাত্রীরা সকলেই বিদেশি। অধিকাংশেরই ভারতে ঢোকার ভিসা নেই।
বিমানবন্দর সূত্রের খবর, কাতার এয়ারওয়েজ়ের ওই বিমানটি ২২২ জন যাত্রী নিয়ে দোহা থেকে কাঠমান্ডু যাচ্ছিল। দুপুরে কাঠমান্ডুর আকাশে পৌঁছেও খারাপ আবহাওয়ার জন্য সেখানে নামতে না পেরে কলকাতায় চলে আসে বিমানটি। ঠিক ছিল, কাঠমান্ডুর আকাশ পরিষ্কার হলে উড়ে যাবে বিমান। যাত্রীদের কাউকেই তাই প্রথমে নামতে দেওয়া হয়নি।
কিন্তু আন্তর্জাতিক নিয়ম অনুযায়ী, একটানা নির্দিষ্ট কিছু ঘণ্টার বেশি উড়তে পারেন না পাইলট ও বিমানসেবিকারা। সেই সময় পার হয়ে গেলে বাধ্যতামূলক ভাবে বিশ্রাম নিতে হয় তাঁদের। সন্ধ্যায় কাঠমান্ডুর আকাশ পরিষ্কার হওয়ার আগেই সেই নিয়মের গেরোয় পড়ে যান কাতারের পাইলট ও বিমানসেবিকারা। একে বিমান পরিবহণের পরিভাষায় ‘ফ্লাইট ডিউটি টাইম লিমিটেশন’ (এফডিটিএল) বলা হয়।
বিমানবন্দর সূত্রের খবর, যাত্রী, পাইলট ও বিমানসেবিকা— সকলেরই পাসপোর্ট জমা রেখে দিয়েছে অভিবাসন দফতর। মুচলেকা দিয়ে তাঁদের কলকাতার হোটেলে রাখা হয়েছে। নির্ধারিত বিশ্রামের পরে শনিবার ভোরে কাঠমান্ডু যাওয়ার কথা পাইলটদের।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy