টোটো বাতিল করে তা ই-রিকশায় পুনর্বাসনের পথে হাঁটছে রাজ্য। এ জন্য যাঁরা টোটো বাতিল করে ই-রিকশা কিনতে চাইছেন, তাঁদের নানা সুবিধে দিচ্ছে জেলা প্রশাসন। রাজ্য পরিবহণ দফতরের এক কর্তা বলেন, ‘‘টোটোর বদলে যাঁরা ই-রিকশা নিতে চাইছেন, তাঁদের ব্যাঙ্কের ঋণ পাইয়ে দেওয়া, ই-রিকশার দাম কমিয়ে দেওয়ার ব্যবস্থা হচ্ছে। এতে সাড়াও মিলছে।’’
সোমবার বিধানসভায় পরিবহণমন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারীও দাবি করেন, টোটোর বিকল্প হিসেবে ই-রিকশা জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। তিনি বলেন, ‘‘সাড়ে চার হাজার ই-রিকশার রেজিস্ট্রেশন হয়েছে। ১০ তারিখ আরও ১ হাজার ই-রিকশা চালুর ব্যবস্থা হচ্ছে।’’ প্রচুর ই-রিকশা রাস্তায় বেরোলে যানজট আরও বাড়ার যে আশঙ্কা রয়েছে, তা এ দিন খারিজ করে দেন মন্ত্রী। তিনি জানান, ই-রিকশা জনপ্রিয় হলেও তা বড় রাস্তায় চলবে না। ভিতরে ছোট ছোট গলি-ঘুপচিতে ই-রিকশা চলবে বলে জানান তিনি।
টোটোর রেজিস্ট্রেশন হয় না। ফলে দুর্ঘটনা ঘটলে ক্ষতিপূরণও মিলছে না। এ নিয়ে যে পরিবহণ দফতর উদ্বিগ্ন, তা সোমবার বুঝিয়ে দেন পরিবহণমন্ত্রী শুভেন্দুবাবু। তিনি বলেন, ‘‘স্থানীয় জিনিসপত্র দিয়ে টোটো তৈরি হয়। তাই টোটোকে রেজিস্ট্রেশন দেওয়া যাচ্ছে না। ফলে টোটোর ক্ষেত্রে দুর্ঘটনাজনিত কারণে ক্ষতিপূরণও দেওয়া যায় না।’’
ব্যাটারিচালিত গাড়িকে আগে রেজিস্ট্রেশন দেওয়ার আইনি সংস্থান ছিল না। সম্প্রতি কেন্দ্র মোটর ভেহিকেলস আইন সংশোধন করে তাকেই ই-রিকশা বলে আখ্যা দিয়েছে। ওই সব গাড়িতে কী মাপকাঠি থাকবে, তা-ও নির্দিষ্ট করে দিয়েছে কেন্দ্র। এই অবস্থায় টোটোকে বাতিল করে তা ই-রিকশায় পুনর্বাসনের পথে হাঁটছে রাজ্য। পরিবহণ দফতরের এক কর্তা বলেন, ‘‘টোটো চালাচ্ছেন বেকার ছেলেরা। হঠাৎ করে তা বন্ধ করে দেওয়া যাচ্ছে না। সে কারণেই, টোটোর বিকল্প হিসেবে ই-রিকশায় তা পাল্টে নেওয়ার কথা বলা হচ্ছে। তাতে টোটো মালিকেরা সাড়াও দিচ্ছেন।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy