ডেঙ্গির চিকিৎসায় প্লেটলেটের যথেচ্ছ ব্যবহার নিয়ে চিকিৎসকদের একাংশকে কাঠগড়ায় তুলল রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের নির্দেশিকা।
ওই নির্দেশিকায় লেখা হয়েছে, ‘প্লেটলেট ট্রান্সফিউশন নিয়ে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ও কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের যে নির্দেশিকা রয়েছে, তা ডেঙ্গি রোগীদের চিকিৎসার সময়ে চিকিৎসকেরা মানছেন না’। তবে নির্দেশিকায় ‘অসাবধানতাবশত’ শব্দটিও ব্যবহার করা হয়েছে। প্লেটলেটের যথেচ্ছ ব্যবহার রোধে চিকিৎসকদের করণীয়ও স্থির করে দিয়েছে ওই নির্দেশিকা। এর প্রেক্ষিতে স্বাস্থ্যকর্তাদের বক্তব্য, কোন অবস্থায় রোগীকে প্লেটলেট দিতে হবে তা নিয়ে অনেক ক্ষেত্রে অজ্ঞতা কাজ করে। আবার মুনাফা লোটার লোভেও এক শ্রেণির বেসরকারি হাসপাতাল ও নার্সিংহোমে অবৈজ্ঞানিক ভাবে ডেঙ্গি রোগীকে প্লেটলেট দেওয়া হচ্ছে। যার জেরে নানা পার্শ্ব প্রতিক্রিয়ায় অসুস্থদের অবস্থার অবনতি হচ্ছে। নির্দেশিকা অনুযায়ী, কিছু ক্ষেত্রে এ ধরনের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়ায় প্রাণহানির ঘটনাও ঘটছে।
নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, রক্তে প্লেটলেটের সংখ্যা ১০ হাজার থেকে ২০ হাজার কিউবিক মিলিমিটারের মধ্যে থাকলে ও শরীরে অভ্যন্তরীণ রক্তক্ষরণ না হলে প্লেটলেট দেওয়া নিষ্প্রয়োজন। যদি রক্তক্ষরণ হয় তবে চিকিৎসক রোগীর অবস্থা দেখে প্লেটলেট দেওয়ার ব্যাপারে তাৎক্ষণিক সিদ্ধান্ত নেবেন এবং সেটি ব্যতিক্রমী অবস্থা বলে ধরতে হবে।