ফাইল চিত্র।
সকাল সাড়ে দশটা থেকে সাড়ে বারোটা — মাত্র দু’ঘণ্টা মুষলধারে বৃষ্টি। আর তাতেই সোমবার দুপুরে কলকাতা বিমানবন্দর পৌঁছনোর সমস্ত রাস্তায় এমন জট পাকিয়ে গেল যে বেশ কিছু যাত্রী উড়ানই ধরতে পারলেন না।
বিকেল সাড়ে পাঁচটার সময়ে কলকাতা থেকে স্পাইসজেটের উড়ানে দিল্লি যাওয়ার কথা ছিল সাহানা ভট্টাচার্যের। নাগেরবাজারের বাড়ি থেকে মাত্র ১৫ মিনিটের রাস্তা। বিকেল সাড়ে তিনটের সময়ে রওনা হয়ে সাহানা বিমানবন্দরে পৌঁছন বিকেল পাঁচটা দশে। ততক্ষণে চেক-ইন কাউন্টার বন্ধ হয়ে গিয়েছে। বাড়ি ফিরে এসেছেন তিনি। আজ, মঙ্গলবার ওই উড়ানে অফিসের কাজে তাঁর দিল্লি যাওয়ার কথা।
পুলিশ সূত্রের খবর, রাজ্য পুলিশের আইজি জাভেদ শামিমের দুপুরে বাগডোগরার উড়ান ধরার কথা ছিল। ভিআইপি রোডে বাগুইআটির কাছে তিনি আটকে পড়েন যানজটে। শেষে পুলিশের মোটরসাইকেলে চেপে বিমানবন্দরে পৌঁছে উড়ান ধরেন। রাস্তায় দাঁড়িয়ে থাকা পুলিশ অফিসারের মোটরবাইকে চেপে অসহায় যাত্রীকে বিমানবন্দরে পৌঁছে দেওয়ার মতো ঘটনাও এ দিন ঘটেছে।
জানা গিয়েছে, দু’ঘণ্টার বৃষ্টিতে রাজারহাটের চিনার পার্ক এবং ভিআইপি হলদিরামে হাঁটু সমান জল দাঁড়িয়ে যায়। যে গাড়িগুলি ভিআইপি রোড ধরে বিমানবন্দর যাচ্ছিল, সেগুলি বাগুইআটি উড়ালপুলের উপর থেকে দাঁড়িয়ে যায়। বহু যাত্রী সেখানে গাড়ি ছেড়ে উড়ান ধরার তাগিদে হাঁটতে শুরু করেন। রাজারহাটের সিটি সেন্টার (২)-এর পর থেকেও একই চিত্র। সার বেঁধে দাঁড়িয়ে রয়েছে গাড়ি।
পুলিশের একটি সূত্র জানাচ্ছে, হলদিরামের পর থেকে বিমানবন্দর পর্যন্ত রাস্তা ফাঁকা থাকলেও সব গাড়ি হলদিরাম পেরোতে গিয়েই হিমশিম খেয়ে যায়। বিমানবন্দরে কর্মরত অফিসার, পাইলট ও বিমানসেবিকাদেরও পৌঁছতে দেরি হয়ে যায়। তবে যানজটের জন্য কোনও বিমান দেরিতে ছেড়েছে, এমন খবর পাওয়া যায়নি। শুধু সাহানার মতো কিছু যাত্রী সময় মতো বিমানবন্দরে না পৌঁছনোর ফলে উড়ান ধরতে পারেননি। রাত পর্যন্ত যানজটে আটকে থাকেন যাত্রীরা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy