E-Paper

লুটে বাধা দেওয়াতেই কি খুন তবলাবাদক, কাটিহারে গেল পুলিশ

তদন্তকারীরা ঘটনার রাতে, অর্থাৎ গত মঙ্গলবার রাত দেড়টার পরে যে সব স্টেশনে ট্রেনটি থেমেছে, সেই স্টেশনগুলির সিসি ক্যামেরার ফুটেজ খতিয়ে দেখতে চাইছেন। তবে, সব স্টেশনে সিসি ক্যামেরা নেই বলে জানা গিয়েছে।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৩ নভেম্বর ২০২৪ ০৮:০৪
এই ধরনের খবরের ক্ষেত্রে আসল ছবি প্রকাশে আইনি নিষেধাজ্ঞা থাকে।

এই ধরনের খবরের ক্ষেত্রে আসল ছবি প্রকাশে আইনি নিষেধাজ্ঞা থাকে। —প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।

ডাউন কাটিহার এক্সপ্রেসে খুন হওয়া তবলাবাদক সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের মোবাইলটি ১৯ নভেম্বর রাত দেড়টা পর্যন্ত সক্রিয় ছিল। যা থেকে গোয়েন্দাদের অনুমান, ওই রাতে দেড়টার পরেই খুন করা হয়েছিল তাঁকে। তদন্তকারীরা ঘটনার রাতে, অর্থাৎ গত মঙ্গলবার রাত দেড়টার পরে যে সব স্টেশনে ট্রেনটি থেমেছে, সেই স্টেশনগুলির সিসি ক্যামেরার ফুটেজ খতিয়ে দেখতে চাইছেন। তবে, সব স্টেশনে সিসি ক্যামেরা নেই বলে জানা গিয়েছে। এই খুনের তদন্তে শুক্রবার কাটিহার পৌঁছেছে হাওড়া জিআরপি-র একটি বিশেষ তদন্তকারী দল। এ দিকে, যে কামরায় খুনের ঘটনা ঘটেছে, প্রতিবন্ধীদের জন্য সংরক্ষিত সেই কোচ থেকে ফরেন্সিক দল আঙুলের ছাপের নমুনা সংগ্রহ করেছে। পাশাপাশি, বৃহস্পতিবার ডিআইজি (সিআইডি) সোমা দাস মিত্রের নেতৃত্বে কোচটি বিশেষ ভাবে পরীক্ষাও করা হয়েছে।

রেল পুলিশ সূত্রের খবর, সৌমিত্র (৬৩) কাটিহারে জীবনের অনেকটা সময় কাটিয়েছেন। সেখানে তাঁর নিয়মিত যাতায়াত ছিল। কাটিহারে তবলা শেখানোর পাশাপাশি বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানও করতেন তিনি। তাই কাটিহার থেকে ঘটনার কোনও সূত্র পাওয়া যায় কি না, তা-ও দেখছে পুলিশ। এই খুনের ঘটনার তদন্তে হাওড়া রেল পুলিশের সঙ্গে সহযোগিতা করছেন সিআইডির গোয়েন্দারা। সৌমিত্রর পরিবারের লোকজন মনে করছেন, তাঁর কাছ থেকে দামি মোবাইল, নগদ দশ হাজার টাকা এবং ব্যাগ লুট করেছে দুষ্কৃতীরা। লুটে বাধা দেওয়াতেই তাঁকে খুন করা হয়েছে। ঘটনার নেপথ্যে বিহারের কোনও সংগঠিত দল আছে কি না, তা-ও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। কোনও রকম ব্যক্তিগত শত্রুতার যোগসূত্র আছে কি না, সেই দিকটিও দেখছেন তদন্তকারীরা। প্রাথমিক ভাবে সৌমিত্রের শরীরে ক্ষতচিহ্ন দেখে পুলিশেরও অনুমান, চুরি বা ছিনতাইয়ে বাধা দেওয়ায় খুন করা হয়েছে তাঁকে। তবে, বাধা দেওয়ার কোনও প্রমাণ পুলিশ পেয়েছে কি না, সেই বিষয়ে কেউ কিছু বলতে চাননি।

পুলিশ সূত্রের খবর, ঘটনার রাতে ওই ট্রেনে রেল রক্ষী বা রেল পুলিশ ছিল না। যে কামরা থেকে দেহ উদ্ধার হয়েছে, সেখানে চারটি আসন রয়েছে। পুলিশের অনুমান, সৌমিত্র ছাড়া সেখানে বেশি কেউ ছিলেন না। রেল পুলিশ সূত্রের খবর, ওই রাতে ট্রেনে থাকা গার্ডদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। যেহেতু কামরাটি কাটিহার এক্সপ্রেসের ইঞ্জিনের ঠিক পরেই ছিল, তাই চালক ও সহ-চালক কিছু দেখেছেন কিনা, তা জানতে চেষ্টা করছেন তদন্তকারীরা। এই ঘটনায় রেলের গাফিলতির অভিযোগ তুলেছে তৃণমূল কংগ্রেস। শুক্রবার বিকেলে ডিআরএম অফিসের সামনে বিক্ষোভ দেখায় তারা। যাত্রী-নিরাপত্তার দাবিতে স্মারকলিপি দেওয়ার পাশাপাশি মৃতের পরিবারের এক জনকে চাকরি দেওয়ার দাবিও জানানো হয়।

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

Murder train Bihar

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy