রাস্তার এক ধারে পরপর বাঁধা পাঁচটি মোষ। দু’টি আবার ফুটপাতের উপরে। কিছু দূর এগোলেই খড়ের গাদা, গোবরের স্তূপে ফুটপাতটাই উধাও! ওই তল্লাট দিয়ে হেঁটে যেতে নাকে কাপড় চাপা দিতে হয়। রাতে তো কথাই নেই, দিনেও সেখানে মশা ছেঁকে ধরে। কম যায় না মাছির দৌরাত্ম্যও। খাস কলকাতার চিৎপুর লকগেট উড়ালপুলের দু’পাশের এই খাটাল আসলে কিন্তু খাটাল নয়। এমনই দাবি স্থানীয় কিছু বাসিন্দা তথা ‘খাটালে’র মেজ-ছোট কর্তাদের। আর বড় কর্তার দাবি, ‘‘খাটাল হলে খাটাল। এখানে খাটাল চলবেই। দেখি কে আটকায়।’’ একে খাটাল বলতে রাজি নন স্থানীয় পুর প্রতিনিধিও। ফলে ফুলে ফেঁপে বাড়ছে সেই বিতর্কিত ব্যবসা।
বি টি রোড ধরে কলকাতা পুরসভার ছ’নম্বর ওয়ার্ডের অন্তর্গত ওই এলাকায় পৌঁছে শুক্রবার দেখা গেল, পরপর মোষ বাঁধা। যত্রতত্র পড়ে তাদের মল-মূত্র। স্থানীয় এক চায়ের দোকানদার বললেন, ‘‘এমন জায়গা এখানে অনেক আছে।’’ তাঁরই দেখানো রাস্তা ধরে দেখা গেল, পাঁচিলে ঘেরা ফাঁকা জমি। সেখানে পরপর দাঁড় করানো লরিতে বাঁধা মোষের দল। পাশেই সিমেন্টে বাঁধানো অংশে ছাউনি দিয়ে তৈরি করা হয়েছে ‘খাটাল’। গবাদি পশুর খাবার এবং বর্জ্য পাশাপাশি পড়ে থেকে সে এক চরম অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ তৈরি হয়েছে।
শহরের ভিতরে খাটাল? প্রশ্ন শুনেই মোবাইল হাতে ব্যস্ত এক যুবক বললেন, ‘‘এটা খাটাল নয়। এমনিই মোষ রাখা হয়।’’ খাটালের মতোই তো মোষ রেখে ব্যবসা চলে। তবু খাটাল নয়? যুবকের উত্তর, ‘‘সেবক যাদবের নাম শুনেছেন? এখানকার দাদা। এটা ওর জায়গা। যা বলার ওকে বলবেন।’’