যেন একটি ‘বিজনেস চেন’! ঠিক সেই কায়দাতেই কলকাতা এবং শহরতলিতে বেআইনি অস্ত্রের ব্যবসা ফেঁদেছিল পুলিশের হাতে ধৃত অস্ত্র কারবারিরা। ধৃতেরা জেরায় জানিয়েছে, এক বছরেরও বেশি সময় ধরে চলছিল ওই ব্যবসা। তিলজলার পাশাপাশি শহরতলির রবীন্দ্রনগরেও ধৃতেরা অস্ত্র তৈরি করত বলে পুলিশ দাবি করেছে। গত বছর ওই এলাকায় সিআইডি এবং জেলা পুলিশের দল হানা দিলে সেখান থেকে তারা পালিয়ে যায় বলে জেরার মুখে দাবি করেছে ধৃতেরা। পরে নতুন করে আবার অস্ত্র কারখানা তৈরি করেছিল তারা।
কী ভাবে চলত অস্ত্রের ওই ব্যবসা?
পুলিশ জানায়, তিলজলার চন্দ্রনাথ রায় রোডের ওই কারখানায় অস্ত্র তৈরির পরে তা পাঠিয়ে দেওয়া হত ধৃত ইমতিয়াজ আহমেদের কাছে। সেখানে ওই সব অস্ত্রে ‘ফিনিশিং টাচ’ দেওয়া হত। পরে মুঙ্গেরের এক বড় অস্ত্র কারবারির নির্দেশে শহরের বিভিন্ন দুষ্কৃতীদের কাছে তা বিক্রি করত অন্য একদল দুষ্কৃতী। ধৃতদের জেরা করার পরে পুলিশের দাবি, অস্ত্র তৈরি বা বিক্রি করা কিংবা সরবরাহ করার সঙ্গে যুক্তেরা কেউ কাউকে চিনত না। মুঙ্গের থেকে আসা নির্দেশ মতো মাল তৈরির পরে তা হতবদল হয়ে ক্রেতার কাছে পৌঁছে যেত বলে পুলিশ দাবি করেছে।