Advertisement
০৫ মে ২০২৪

পুরসভার সার্ভার বসে গিয়ে বিপর্যস্ত পরিষেবা

পুর প্রশাসনের একাংশের বক্তব্য, সেন্ট্রাল সার্ভার বসে যাওয়াটা প্রযুক্তিগত ত্রুটি হলেও পুর প্রশাসনেরও একটা দায় থাকে। কারণ, ডেটা সেন্টারের পরিকাঠামো উন্নয়নের কথা বারবার বলা হলেও এখনও তা হয়নি।

নিজস্ব সংবাদদাতা
শেষ আপডেট: ১৪ অক্টোবর ২০১৮ ০২:৪৩
Share: Save:

সেন্ট্রাল সার্ভার বসে যাওয়ায় মৃত্যু সংক্রান্ত রেজিস্ট্রেশন, ট্রেজারির লেনদেন, সম্পত্তিকর জমা নেওয়া-সহ কলকাতা পুরসভার সামগ্রিক পরিষেবা বিপর্যস্ত হল শনিবার। যার ফলে ভোগান্তিতে পড়তে হয় নাগরিকদেরও। পুরসভা সূত্রের খবর, সাম্প্রতিক কালে এত বড় বিপর্যয় হয়নি।

পুর প্রশাসনের একাংশের বক্তব্য, সেন্ট্রাল সার্ভার বসে যাওয়াটা প্রযুক্তিগত ত্রুটি হলেও পুর প্রশাসনেরও একটা দায় থাকে। কারণ, ডেটা সেন্টারের পরিকাঠামো উন্নয়নের কথা বারবার বলা হলেও এখনও তা হয়নি। পুরসভা সূত্রের খবর, রক্ষণাবেক্ষণের জন্য দু’তিন মাস অন্তর সেন্ট্রাল সার্ভার বন্ধ করা হয়। সেই মতোই শুক্রবার বিকেল পাঁচটা নাগাদ তা বন্ধ করা হয়েছিল। কিন্তু রাত ৮টা নাগাদ তা চালু করতে গিয়ে দেখা যায়, সার্ভারের একাংশ কাজ করছে না। বিশেষ করে যে অংশটি ‘মিউনিসিপ্যাল অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ সার্ভিস’-এর সঙ্গে যুক্ত, অর্থাৎ পুর পরিষেবা সংক্রান্ত তথ্য ভাণ্ডার পুরো অকেজো হয়ে যায়। ইঞ্জিনিয়ারেরা সারা রাত কাজ করলেও পরিস্থিতির কোনও উন্নতি হয়নি। আজ, রবিবারও হাল ফেরা নিয়ে নিশ্চিত নন আধিকারিকেরা।

পুজোর আগে এ দিন শেষ অফিস খোলা ছিল। ফলে সকাল থেকেই পুরসভার বিভিন্ন অফিসে করদাতাদের লাইন পড়ে। এক পুর আধিকারিক জানান, কর সংগ্রহের জন্য শহরে ১৮টি কেন্দ্র রয়েছে। সার্ভারের সমস্যার কথা জানাজানি হতেই কর সংগ্রহের প্রতিটি কেন্দ্রে টাকা জমা নেওয়া হবে না বলে বিজ্ঞপ্তি টাঙিয়ে দেওয়া হয়। ফলে এ দিন প্রায় এক কোটি টাকার মতো কর আদায় হল না বলে মনে করছেন পুর অফিসারেরা। কর মূল্যায়ন দফতরের এক অফিসার জানান, আগামী কয়েক দিন পুজোর ছুটিতে পুরসভার অফিস বন্ধ থাকবে। তাই শেষ দিনে মানুষের মধ্যে কর জমা দেওয়ার বেশি প্রবণতা থাকে।

শুধু তাই নয়, শ্মশানঘাটগুলিতে মৃত্যুর শংসাপত্র দেওয়ার কাজ যেমন এ দিন বন্ধ ছিল, তেমনই যাবতীয় আর্থিক লেনদেন বন্ধ ছিল। রাস্তায় পিচ ঢালার পরিমাণে কারচুপি বন্ধের জন্য পুরসভার প্ল্যান্টগুলিতে কী পরিমাণ জিনিস ব্যবহার হচ্ছে, তা দেখার জন্য অনলাইনে বিশেষ ব্যবস্থা করা হয়েছে। এই বিপর্যয়ের কারণে সে কাজও এ দিন হাতেকলমে করতে হয়েছে। পুরসভার তথ্যপ্রযুক্তি উপদেষ্টা সন্দীপন সাহা অবশ্য স্পষ্ট জানান, এ রকম কোনও ব্যাপারই নেই। কারণ নিয়মিত পরিকাঠামোর উন্নয়ন করা হয়েছে। তাঁর কথায়, ‘‘এটি যান্ত্রিক ত্রুটি। নতুন ডেটা সেন্টার তৈরির ব্যাপারেও ইতিমধ্যেই সিদ্ধান্ত হয়ে গিয়েছে। রবিবার পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ার আশা করছি।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE