নেট দুনিয়ায় অঙ্গ বিক্রি রোধে এ বার সক্রিয় হচ্ছে রাজ্য। সোশ্যাল মিডিয়ায় অঙ্গদানের বি়জ্ঞাপন দেখলেই জানিয়ে দেওয়া যাবে স্বাস্থ্য দফতরে।
সংবাদপত্র কিংবা টেলিভিশনে জীবিত ব্যক্তির ‘অঙ্গদান’ করার আর্জি নিয়ে বিজ্ঞাপন দেওয়া নিষিদ্ধ ঘোষণা হয়েছে কয়েক বছর আগেই। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ মেনে এ রাজ্যেও সেই নিয়ম চালু করে স্বাস্থ্য দফতর। কিন্তু অনেকেই বিজ্ঞাপন দেওয়ার জায়গা হিসেবে সোশ্যাল মাধ্যমগুলিকে ব্যবহার করছেন। নিয়মের ফাঁক গলে অঙ্গ-ব্যবসাও ফুলেফেঁপে উঠেছে অনলাইনে। তাই এ বার একই পদক্ষেপ করা হচ্ছে সোশ্যাল মি়ডিয়া নিয়ন্ত্রণের ক্ষেত্রেও।
স্বাস্থ্য দফতরের এক কর্তা বলেন, ‘‘সহৃদয় ব্যক্তিকে অঙ্গ দান করার আর্জি জানিয়ে আসলে অঙ্গ কেনা-বেচা চলে। এটা সম্পূর্ণ অবৈধ। তাই সমস্ত গণমাধ্যমে এগুলি বন্ধ করতেই এই উদ্যোগ।’’
ফেসবুক, টুইটার কিংবা ইউটিউবের মতো জনপ্রিয় সোশ্যাল সাইটে এই ধরনের বিজ্ঞাপন বা আর্জি দেখতে পেলেই সরাসরি সেই বিজ্ঞাপনদাতার লিঙ্ক শেয়ার করা যাবে নির্দিষ্ট ওয়েবসাইটে। ফেসবুকের ক্ষেত্রে যেমন jwu.fb.com ও ইউটিউবের ক্ষেত্রে legal@support.youtube.com। নির্দিষ্ট সাইটে লিঙ্ক শেয়ার করার পরেই প্রশাসন সেই বিজ্ঞাপনদাতার বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করবেন।
আরও খবর
আর টুইটার না, এ বার লাইভ টিভি চ্যানেল লঞ্চ করব
অঙ্গ বেচা-কেনার অবৈধ কারবার বন্ধ করার পাশাপাশি সাধারণ মানুষকে মরনোত্তর অঙ্গদানেও উৎসাহী করা জরুরি বলে মনে করছেন স্বাস্থ্য দফতরের শীর্ষ কর্তাদের একাংশ। তাঁদের মতে, সাধারণ মানুষকে সচেতন করতে হবে। লাগাতার প্রচার চালাতে হবে যাতে তাঁরা কোনও চক্রের ফাঁদে জড়িয়ে না পরেন। অধিকাংশ ক্ষেত্রে এই বিজ্ঞাপনদাতাদের পিছনে বড় মাপের অবৈধ ব্যবসার চক্র কাজ করে। পাশাপাশি, মরণোত্তর দেহদানের প্রবণতা বাড়লে অবৈধ বিক্রি রুখতে আরও সুবিধা হবে।
এ প্রসঙ্গে অতিরিক্ত স্বাস্থ্য অধিকর্তা অদিতিকিশোর সরকার বলেন, ‘‘যে কোনও অঙ্গ টাকার বিনিময়ে দেওয়া অবৈধ। আজকের দিনে সোশ্যাল মিডিয়া বিভিন্ন কাজে ব্যবহার হচ্ছে। ভাল কাজের পাশাপাশি এই ধরনের কাজও চলছে। অনলাইনে অঙ্গ বিক্রি বন্ধ করতে এই মাধ্যমগুলি সাহায্য করবে বলেই আশা রাখি।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy