Advertisement
৩০ এপ্রিল ২০২৪

জগিং ট্র্যাক, আলোর সাজ খালপাড়ে

ভিআইপি রোডের পাশে সৌন্দর্যায়নের পর এ বার উল্টোডাঙা থেকে দমদম পার্ক পর্যন্ত কেষ্টপুর খালের দু’পাশে জগিং ট্র্যাক করা হচ্ছে। প্রাতর্ভ্রমণকারীদের সুবিধার্থে সিমেন্ট দিয়ে বাঁধিয়ে রাস্তা তৈরি করে তার উপর টালি পাতার কাজ শুরু করে দিয়েছে পূর্ত দফতর।

বাহারি: বসেছে দোলনা, পাতা হয়েছে জগিং ট্র্যাক। ছবি: শৌভিক দে

বাহারি: বসেছে দোলনা, পাতা হয়েছে জগিং ট্র্যাক। ছবি: শৌভিক দে

সোমনাথ চক্রবর্তী
শেষ আপডেট: ২৭ মার্চ ২০১৭ ০২:১১
Share: Save:

ভিআইপি রোডের পাশে সৌন্দর্যায়নের পর এ বার উল্টোডাঙা থেকে দমদম পার্ক পর্যন্ত কেষ্টপুর খালের দু’পাশে জগিং ট্র্যাক করা হচ্ছে। প্রাতর্ভ্রমণকারীদের সুবিধার্থে সিমেন্ট দিয়ে বাঁধিয়ে রাস্তা তৈরি করে তার উপর টালি পাতার কাজ শুরু করে দিয়েছে পূর্ত দফতর। সেই সঙ্গে খালের দু’পাড় সাজানো হচ্ছে পার্ক, বসার জায়গা, ফোয়ারা, ঘাস এবং আলো দিয়ে। এর জন্য খরচ হচ্ছে ১০ কোটি টাকা।

কেষ্টপুর খালের দু’পাড় এত দিন জঙ্গলে ভরে ছিল। বেশ কিছু দিন আগে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ভিআইপি রোড দিয়ে যাওয়ার সময়ে ওই এলাকায় আবর্জনা দেখে এলাকার বিধায়ক সুজিত বসুকে সৌন্দর্যায়নের পরামর্শ দেন। সেই মতো গোলাঘাটা থেকে দমদম পার্ক পর্যন্ত ভিআইপি রোড চওড়া করার কাজ শুরু হয়। রাস্তার দু’পাশে জঞ্জাল সাফ করে ফেলা হয়। তৈরি করা হয় পার্ক, বসার জায়গা। সাজানো হয় বাহারি আলো দিয়ে।

এ বার হাত পড়েছে কেষ্টপুর খালের দু’পাশে। সল্টলেকের দিকে রাস্তার কাজ প্রায় শেষের দিকে। লেক টাউনের দিকেও কাজ অনেকটা এগিয়ে গিয়েছে। সার দিয়ে লাগানো হয়েছে পাম গাছ। পাতা হয়েছে ঘাস। পাথর দিয়ে তৈরি হয়েছে ছোট ছোট টিলা। শিশুদের জন্য রয়েছে দোলনা। যদিও খাল সংস্কার না হওয়ায় শুধু পাড়ের সৌন্দর্যায়ন নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন অনেকেই।

সল্টলেকের এ ই পার্ট ওয়ান ব্লকের বাসিন্দা প্রদীপ লোধ বলেন, ‘‘খালধারের রাস্তায় বহু মানুষ প্রতিদিন প্রাতর্ভ্রমণ করেন। ওই রাস্তায় দ্রুত গতিতে গাড়ি চলাচল করে। এর জেরে দুর্ঘটনা হতো। নতুন রাস্তা তৈরি হওয়ায় দুর্ঘটনার ভয় থাকবে না। খালপাড় পরিষ্কার হওয়ায় মশাও কমবে। এলাকার চেহারা বদলে গিয়েছে।’’ সল্টলেক ছাড়াও বাঙুর, লেক টাউন এবং দমদম পার্কের বহু মানুষ খালপাড়ের রাস্তায় প্রাতর্ভ্রমণ করেন। প্রাতর্ভ্রমণকারী পিনাকী বসু, অনুপম সরকারেরা নতুন রাস্তা হওয়ায় খুশি। পিনাকীবাবু বলেন, ‘‘খালের জলও পরিষ্কার করা উচিত। নিয়মিত গঙ্গার জল ঢোকানো হলে নোংরা থাকবে না, দুর্গন্ধও হবে না।’’

বিধাননগরের বিধায়ক সুজিত বসু বলেন, ‘‘আমরা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশ মতো কাজ করার চেষ্টা করছি। কেষ্টপুর খালের দু’পাশ সাজানো হচ্ছে। ১০ কোটি টাকা খরচ করে আধুনিক পার্ক আলো দিয়ে সাজানো হচ্ছে। আলাদা জগিং ট্র্যাক করা হয়েছে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Canal Park Jogging
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE