Advertisement
E-Paper

সে দিন পুলিশ হস্টেলে পুজোর ভিড় সামলাতে যায়নি! যুক্তি শুনে জয়দীপকে জেলে পাঠাল কোর্ট

জয়দীপের আইনজীবীর যুক্তি, জয়দীপ হস্টেলের আবাসিক নন। ঘটনার সময় তিনি হস্টেলে ছিলেন না। জয়দীপের পায়ে অস্ত্রোপচার হয়েছে। তাঁকে জামিন দেওয়া দরকার। বিরোধিতা করেছেন সরকারি আইনজীবী।

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৪ অগস্ট ২০২৩ ১৮:১৪
image of joydeep ghosh

জয়দীপ ঘোষ। — ফাইল চিত্র।

পুলিশ নিজের ক্ষমতা দেখানোর জন্য যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তনী জয়দীপকে ঘোষকে গ্রেফতার করেছে। বৃহস্পতিবার আদালতে এমন দাবি করেন তাঁর আইনজীবী। যদিও পুলিশ তা মানতে নারাজ। তাদের তরফে জানানো হয়েছে, পুলিশ সেই রাতে দু্র্গাপুজোর ভিড় সামলাতে যায়নি। একটা ছেলে রক্তাক্ত অবস্থায় মাটিতে পড়েছিলেন। পুলিশ সেখানে সেই সময়ে যেতে পারলে পরিস্থিতি বদলে যেতে পারত। এই যুক্তি দেখিয়েই জয়দীপকে হেফাজতে চাইল পুলিশ। সেই আবেদন মেনে ৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত জয়দীপকে বিচারবিভাগীয় হেফাজতে পাঠাল আলিপুর আদালত।

৯ অগস্ট রাতে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের মেন হস্টেলে পুলিশকে ঢুকতে বাধা দেওয়ার অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছিল জয়দীপকে। তিনি হস্টেলের আবাসিক নন। বিক্রমগড়ে একটি ভাড়াবাড়িতে থাকেন। বৃহস্পতিবার তাঁকে আদালতে হাজির করানো হয়। তাঁর জামিনের আবেদন করেন আইনজীবী বিপ্লব গোস্বামী। তাঁর যুক্তি, ঘটনার সময় জয়দীপ হস্টেলে ছিলেন না। এমনিতেও তিনি হস্টেলে থাকেন না। জয়দীপের পায়ে অস্ত্রোপচার হয়েছে। তাঁকে জামিন দেওয়া দরকার। সেই জামিনের বিরোধিতা করেন সরকারি আইনজীবী সৌরীন ঘোষাল। আদালতে দুই আইনজীবীর কথোপকথন কেমন ছিল, তারই উল্লেখ করা হল:

জয়দীপের আইনজীবী: কত তারিখে এফআইআর হয়েছে দেখে নিন।

১০ তারিখে ঘটনা ঘটল, আর ১৩ তারিখে ওঁরা (পুলিশ) বুঝলেন?

ওঁদের (পুলিশ) কোনও আঘাত নেই।

ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৫৩ ধারায় আঘাত থাকতে হবে, কিন্তু পুলিশের এফআইআরে কোনও আঘাতের কথা উল্লেখ নেই।

ফৌজদারি দণ্ডবিধির ৪১ নম্বর ধারায় নোটিস দেওয়া হয়েছিল কেতুগ্রামের ঠিকানায়।

যাদবপুর থানা এসে সার্ভ করেছিল।

গ্রেফতারির জায়গা দেখুন! যাদবপুর থানার আইওরুম।

সাক্ষীর জায়গায় কারও সই নেই।

হাই কোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী এইটা বেআইনি।

এখানে কিছু উদ্ধারের কোনও ব্যাপার নেই।

অভিযুক্ত পালিয়েও যাইনি।

পুলিশ তাঁর ক্ষমতা দেখানোর জন্য এই গ্রেফতার করেছে।

তিনি হস্টেলের আবাসিকও নন।

তাঁর হাঁটুতে অস্ত্রোপচার হয়েছে। তাঁর এখনও সমস্যা রয়েছে।

যে কোনও শর্তে অন্তর্বর্তিকালীন জামিন দেওয়া হোক।

সরকারি আইনজীবী: পুলিশ কি ডিউটি করতে যাচ্ছিল সেই রাতে, সেটা এখানে গুরুত্বপূর্ণ।

পুলিশ এখানে কোনও ফুলের প্রদর্শনী বা দুর্গাপুজোর ভিড় সামলাতে যাচ্ছিল না।

একটা ছেলে রক্তাক্ত অবস্থায় মাটিতে পড়ে ছিল।

পুলিশ এখানে সেই সময়ে যেতে পারলে পরিস্থিতি বদলে যেতে পারত।

পুরো সময়ের জন্য পুলিশি হেফাজতে চাই।

Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy