বিসর্জনের সময়ে ঘাটে ঘাটে ঘোষকের দায়িত্ব সামলাবে কে, আপাতত তার খোঁজে কলকাতা পুরসভা। গঙ্গার ঘাটে বিসর্জনের সময় কী করণীয় আর কী করণীয় নয়, তা অবিরাম ভাবে বলার দায়িত্ব কাকে দেওয়া হবে, তা নিয়েই জোর আলোচনা চলছে পুর মহলে।
এ বছর বিসর্জনের সময়ে ছোট-বড় মিলিয়ে মোট ৯টি ঘাট— বাজেকদমতলা, বাবুঘাট, নিমতলা ঘাট, নাথেরবাগান ঘাট, শোভাবাজার ঘাট, কুমোরটুলি ঘাট, বাগবাজার ঘাট, মায়ের ঘাট এবং সর্বমঙ্গলা ঘাটে ‘পাবলিক অ্যাড্রেস সিস্টেমে’র ব্যবস্থা রাখার জন্য পুরসভাকে জানিয়েছে কলকাতা পুলিশ। ফলে সেখানে ঘোষক কে হবে, তা নিয়ে আলোচনা চলছে পুর মহলে। পুরকর্তাদের একাংশ অবশ্য জানাচ্ছেন, বাইরের কেউ নন, পুরকর্মীরাই ঘুরিয়ে-ফিরিয়ে ঘোষকের দায়িত্ব পালন করবেন। এক পদস্থ পুরকর্তার কথায়, ‘‘সমস্ত ঘাটে এ বার অতিরিক্ত ব্যবস্থা করতে হবে। ফলে কোন পুরকর্মীদের সেই দায়িত্ব দেওয়া যায়, তাই নিয়ে রুটিন আলোচনা চলছে।’’
প্রসঙ্গত, প্রতি বছরই প্রতিমা বিসর্জনের সময় ঘাটগুলিতে ভিড় উপচে পড়ে। ভিড় সামলাতে পুলিশের পাশাপাশি থাকেন পুরকর্মীরাও। কিন্তু বিসর্জনের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা মূলত বাজেকদমতলা, বাবুঘাট ও নিমতলা ঘাটেই থাকে বলে পুর প্রশাসন সূত্রের খবর। অতীতে বাগবাজার ঘাটে দুর্ঘটনার পরে সেখানেও সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়। কিন্তু পুরসভার অন্য ঘাটগুলিতে কোনও ব্যবস্থা প্রায় থাকে না বললেই চলে। কিন্তু পুলিশের অভিজ্ঞতা বলছে, বড় ঘাটগুলির পাশাপাশি ছোট ঘাটগুলিতেও বিসর্জনের সময়ে যথেষ্ট ভিড় হয়। ঘোষণা ছাড়া ওই ঘাটগুলিতে জনস্রোত সামলানো প্রায় অসম্ভব হয়ে পড়ে। কিন্তু বিসর্জনের জন্য লাইনে দাঁড়ানো, ফুল-পাতা কোথায় ফেলতে হবে— যাবতীয় ঘোষণা মাইকে অনবরত করা হতে থাকে। তবে বড় বড় ঘাটগুলিতে অনেক সময় অনবরত ঘোষণাতেও কাজ হয় না। এ বারে তাই ছোট ঘাটগুলিতে দুর্ঘটনা এড়াতে মাইকে ঘোষণা করার ব্যবস্থা করতে বলা হয়েছে পুর কর্তৃপক্ষকে।
পুর এলাকার মোট ২৪টি ঘাটে যাতে পর্যাপ্ত আলোর ব্যবস্থা করার কথা পুলিশের তরফে পুরসভাকে চিঠি দিয়ে জানানো হয়েছে। ওই ঘাট সংলগ্ন রাস্তাগুলি মেরামতির জন্যেও পুরসভাকে বলা হয়েছে। এক পুর আধিকারিকের কথায়, ‘‘দুর্গাপুজোর সময়ে তো বটেই, লক্ষ্মীপুজো ও কালীপুজোর সময়েও ঘাটে পর্যাপ্ত আলোর ব্যবস্থা করার কথাই আমাদের বলা হয়েছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy