Advertisement
E-Paper

গাছের বেদি নিয়ে তথ্য জোগাড়ে হিমশিম পুরসভা

গত জুলাইতেই একটি মামলার প্রেক্ষিতে গাছের বেদি ভেঙে ফেলতে হবে বলে পুরসভাকে নির্দেশ দিয়েছিল হাইকোর্ট।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৬ অক্টোবর ২০১৯ ০১:৪১
ফাইল চিত্র।

ফাইল চিত্র।

সৌন্দর্যায়ন করতে গিয়ে ‘অতি উৎসাহে’ গাছের গোড়া বাঁধিয়েছেন অনেক কাউন্সিলর। কেন্দ্রীয় ভাবে সেই কাজ না হওয়ার ফলে কোথায়-কোথায় তাঁরা গাছের গোড়া বাঁধিয়েছেন, সে সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহ করতে এখন হিমশিম খেতে হচ্ছে। কলকাতা পুরসভা সূত্রে এমনটাই খবর। এ দিকে নভেম্বরের মধ্যে সমস্ত গাছের বেদি ভেঙে ফেলার নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। আর তাতেই বিপাকে পড়েছেন পুরকর্মীরা।

গত জুলাইতেই একটি মামলার প্রেক্ষিতে গাছের বেদি ভেঙে ফেলতে হবে বলে পুরসভাকে নির্দেশ দিয়েছিল হাইকোর্ট। গত সেপ্টেম্বরে ফের ওই মামলার শুনানিতে শহরের সব গাছের বেদি ভেঙে ফেলার জন্য হাইকোর্ট ২৯ নভেম্বর পর্যন্ত সময় দেয় পুরসভাকে। পুরসভা সূত্রের খবর, এখনও পর্যন্ত প্রায় ১০০০টি গাছের বেদি ভাঙা হয়েছে। কিন্তু আরও অজস্র বেদি রয়েছে শহরজুড়ে। এক পুরকর্তার কথায়, ‘‘কাউন্সিলরেরা নিজেদের ইচ্ছে মতো অনেক জায়গায় বেদি বাঁধিয়ে দিয়েছেন। কেন্দ্রীয় পুরভবন থেকে সেই বাঁধানোর কাজ না হওয়ায় সে সংক্রান্ত তথ্য আমাদের কাছে নেই। ফলে এখন খুঁজে দেখতে হচ্ছে যে কোথায়-কোথায় বেদি রয়েছে।’’

এমনিতে গাছের বেদি ভাঙা নিয়ে পুরসভাকে ভর্ৎসনা করে হাইকোর্ট বলে, গাছের গোড়া কোথায় বেআইনি ভাবে বাঁধানো রয়েছে, তা দেখা পুর আধিকারিকদের কাজ। কিন্তু তাঁরা ‘ইচ্ছাকৃত ভাবে’ সে দায়িত্ব পালন করেননি। ফলে বিষয়টি নিয়ে ইতিমধ্যেই যথেষ্ট ‘চাপে’ রয়েছে পুর প্রশাসন। সেখানে কোথাও গাছের বেদি ফের নজর এড়িয়ে যাক, এমন ‘ঝুঁকি’ নিতে চাইছেন না পুরকর্মী-আধিকারিকেরা।

পুরসভা সূত্রের খবর, এখনও পর্যন্ত যা তথ্য রয়েছে তাতে আরও শ’খানেক গাছের বেদি ভাঙতে হবে। এক পুরকর্তার কথায়, ‘‘অন্তত তেমনটাই চোখে পড়েছে আমাদের। এর বাইরে কিছু থাকলে তা আবার খুঁজে দেখতে হবে।’’ হাইকোর্টে গাছের বেদি নিয়ে যে স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা মামলা দায়ের করেছিল, তাদের পক্ষে পরিবেশকর্মী বনানী কক্কর বলেন, ‘‘সৌন্দর্যায়ন করতে গিয়ে অনেক কাউন্সিলর গাছের বেদি বাঁধিয়ে রেখেছেন। সেখানে বিজ্ঞাপনও দেওয়া হয়েছে। অথচ তাতে গাছের যে ক্ষতি হতে পারে, সে সম্পর্কে সম্পূর্ণ উদাসীন তাঁরা।’’ পুরসভার এক কাউন্সিলরের অবশ্য বক্তব্য, ‘‘গাছের বেদি বাঁধালে অনেকে সেখানে বসতে পারবেন। তাই তা বাঁধিয়েছিলাম। এখন যখন ভাঙা হচ্ছে, হোক। হাইকোর্টের রায় তো মানতেই হবে।’’ আর এক বরো চেয়ারম্যানের বক্তব্য, ‘‘বরোয় কোথায়-কোথায় গাছের বেদি বাঁধানো রয়েছে, সে সম্পর্কে খোঁজ করে পুরসভাকে জানাব।’’

Trees Kolkata KMC
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy