Advertisement
১৯ এপ্রিল ২০২৪
KMC

মুক্তারামবাবু স্ট্রিেট জল জমা ঠেকাতে উদ্যোগ

পুর প্রশাসকমণ্ডলীর সদস্য তারক সিংহ বলেন, ‘‘মুক্তারামবাবু স্ট্রিটে যেখানে নিকাশি নালা রয়েছে সেখানে বহু দিন ধরেই প্রযুক্তিগত জটিলতা রয়েছে।

ফাইল চিত্র।

ফাইল চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ৩১ অক্টোবর ২০২০ ০২:২৩
Share: Save:

প্রতি বর্ষায় সামান্য বৃষ্টিতেই বানভাসি হয় মধ্য কলকাতার মুক্তারামবাবু স্ট্রিট। ওই এলাকার নিকাশির সমস্যা মেটাতে খড়্গপুর আইআইটি-র মতো শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সাহায্য নিতে উদ্যোগী হয়েছিল কলকাতা পুরসভা। অর্থাভাবে বিষয়টি আটকে থাকায় এ বার নিজেরাই কাজ শুরু করল তারা। কাজ শেষ হলে জল জমার সমস্যা অনেকটা কমবে বলে আশাবাদী পুর কর্তৃপক্ষ। তবে কেন এত দিন হয়নি? আগে পুরসভা বিষয়টিতে নজর দেয়নি, মানছেন পুর প্রশাসকমণ্ডলীর এক সদস্য।

সমস্যা ঠিক কোথায়? কী ভাবেই বা সমাধানসূত্র মিলবে? পুরসভার নিকাশি দফতর সূত্রের খবর, যে অংশে এই নিকাশি রয়েছে, সেখানে ওই নিকাশি নালার উপরেই আছে পানীয় জল সরবরাহের লাইন। ফলে, সেই লাইন সরিয়ে নিকাশির সংস্কার করতে হবে। না হলে জলের পাইপ ফেটে সমস্যা হতে পারে। অন্য দিকে, দু’টি লাইন একসঙ্গে থাকায় পরিসর ছোট হয়ে গিয়েছে। ফলে ওই নিকাশি নালা দিয়ে যে পরিমাণ জল বেরোতে পারত, তা অনেক কমে যাচ্ছে। দু’টি পাইপলাইনকে আলাদা করতে পারলে সেই সমস্যা অনেকটা মিটবে বলে আশ্বাস আধিকারিকদের।

পুর প্রশাসকমণ্ডলীর সদস্য তারক সিংহ বলেন, ‘‘মুক্তারামবাবু স্ট্রিটে যেখানে নিকাশি নালা রয়েছে সেখানে বহু দিন ধরেই প্রযুক্তিগত জটিলতা রয়েছে। সেই কারণেই আইআইটি-র মতো প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যোগাযোগ করে তাঁদের পরামর্শ মেনে কাজ করতে সচেষ্ট ছিল পুরসভা। কিন্তু এই মুহূর্তে এত টাকা খরচ করাও অসম্ভব। তাই নিজেরাই নিকাশির সংস্কার শুরু করেছি।”

প্রশ্ন উঠছে, এত দিন পুরসভা এ ভাবে কাজ করল না কেন? তারকবাবু জানান, যে কোনও কারণেই হোক পুরসভা বিষয়টিতে নজর দেয়নি। তা ছাড়া এই ধরনের জটিল সংস্কার সময়সাপেক্ষ। নিকাশি দফতর ছাড়াও পানীয় জল সরবরাহ দফতরের সঙ্গে এ নিয়ে আলোচনা করে কাজ শুরু হয়েছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

KMC Water Logging
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE