বেলঘরিয়ার তরুণী মধুপর্ণা ভট্টাচার্যের অস্বাভাবিক মৃত্যুর তদন্ত করতে বিশেষ দল গঠন করার নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট। বৃহস্পতিবার, হাইকোর্টের বিচারপতি জয়মাল্য বাগচী ব্যারাকপুরের পুলিশ কমিশনারকে ডিএসপি পদমর্যাদার এক অফিসারের নেতৃত্বে ওই দল গড়ার নির্দেশ দিয়েছেন।
পুলিশের দাবি, মধুপর্ণা দুর্ঘটনায় মারা গিয়েছেন। গত বছর মার্চে কামারহাটি ফাঁড়ির সামনে ওই দুর্ঘটনা ঘটে। ওই তরুণীর বাবা ফাল্গুনী ভট্টাচার্যের অভিযোগ, তাঁর মেয়ে বন্ধুর মোটরবাইকের পিছনে বসে বাড়ি ফিরছিলেন। মোটরবাইকটি যখন কামারহাটি ফাঁড়ির সামনে তখন পিছনে থাকা অন্য মোটরবাইকের আরোহী যুবক তাঁর মেয়ের হাত ধরে টান মারে। ফলে রাস্তায় পড়ে যান মধুপর্ণা। গুরুতর চোট পেয়ে তাঁর মৃত্যু হয়। পুলিশি তদন্তে সন্তুষ্ট না হয়ে হাইকোর্টে মামলা করেন ওই ব্যক্তি। ৬ এপ্রিল এই মামলার প্রথম শুনানিতে বিচারপতি বাগচী জানান, পুলিশি তদন্তে ফাঁক রয়েছে।
এ দিন মামলার পরবর্তী শুনানি ছিল। সরকার পক্ষের আইনজীবী শুভব্রত দত্ত আদালতে জানান, মধুপর্ণার মোটরবাইকে একটি ট্যাক্সি ধাক্কা মারে। এর জেরে মধুপর্ণা এবং তাঁর বন্ধু আকাশ (যিনি মোটরবাইক চালাচ্ছিলেন) গাড়ি-সহ রাস্তায় ছিটকে পড়েন। তাঁদের পিছনে অন্য মোটরবাইকে চেপে যাচ্ছিলেন অন্য এক যুবক। সেই সময় তিনিও আকাশের মোটরবাইকে ধাক্কা মেরে রাস্তায় পড়ে যান। সেই যুবক পুলিশের কাছে দেওয়া বয়ানে জানিয়েছেন, কী ভাবে ট্যাক্সির ধাক্কায় মধুপর্ণারা পড়ে যান। তদন্তকারী অফিসার সেই বয়ান ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে জমাও দিয়েছেন।
ফাল্গুনীবাবুর আইনজীবী জয়ন্তনারায়ণ চট্টোপাধ্যায় আদালতে অভিযোগ করেন, পুলিশ সঠিক তদন্ত করেনি। জয়ন্তবাবু দাবি করেন, তদন্তকারী অফিসার মধুপর্ণার বন্ধু আকাশের বয়ানই নথিভূক্ত করেননি।
দু’পক্ষের বক্তব্য শুনে বিচারপতি বাগচী ওই কমিটি গ়ড়ার নির্দেশ দেন। বিশেষ দলকে আট সপ্তাহ পরে তদন্ত-রিপোর্ট জমা দিতে হবে।