ফাইল চিত্র।
কথায় বলে, চোর পালালে বুদ্ধি বাড়ে! ঠিক সে ভাবেই দেবাঞ্জন দেবের কীর্তি ফাঁস হওয়ার পরে এত দিনে পুরভবনের সুরক্ষা নিয়ে টনক নড়েছে পুরসভার। তাই এ বার থেকে নতুন নিয়ম, মূল গেটে খাতায় নাম লিখে ভিতরে ঢুকতে হবে বহিরাগতদের। পাশাপাশি, পুরকর্মীদের প্রত্যেককে গলায় ঝুলিয়ে রাখতে হবে পরিচয়পত্র। বাড়ানো হবে সিসি ক্যামেরার সংখ্যাও।
এস এন ব্যানার্জি রোডে পুরসভার সদর দফতরে নিরাপত্তা অত্যন্ত ঢিলেঢালা। যে কেউ ঢুকে যেতে পারেন ভিতরে। এক বার পুরভবনের ভিতরেই একটি দফতরে দালালদের হাতেনাতে ধরেছিলেন কর্তব্যরত পুলিশকর্মীরা। প্রশ্ন উঠেছে, পুরভবনের নিরাপত্তার বিষয়টি এত দিন গুরুত্ব পায়নি কেন? এক আধিকারিকের কথায়, ‘‘এর আগে একাধিক বার নিরাপত্তা বাড়ানোর কথা বলা হলেও তা বাস্তবায়িত হয়নি। এ বার দেবাঞ্জন দেব ধরা পড়ায় নিরাপত্তা বাড়ানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে।’’
বিভিন্ন প্রয়োজনে প্রতিদিন বহু মানুষ পুরসভায় আসেন। নতুন নিয়মে তাঁরা কে, কার সঙ্গে দেখা করতে যাচ্ছেন, ঢোকার সময়ে তা লিখতে হবে। প্রয়োজনে নিরাপত্তাকর্মী ইন্টারকমের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট পুরকর্তা বা আধিকারিকের সঙ্গে কথা বলে নেবেন। প্রশাসকমণ্ডলীর চেয়ারম্যান ফিরহাদ হাকিম বলেন, ‘‘পুরসভায় অনেকেই জরুরি কাজে আসেন। সকলেই তো প্রতারক নন। তবে পুরভবনে অবাধ বিচরণে রাশ টানা হবে।’’
বর্তমানে পুরভবনে কড়া নিরাপত্তা রয়েছে ফিরহাদ হাকিমের অফিসের বাইরে। তার বাইরে কড়াকড়ি কোথাওই তেমন নেই। এক আধিকারিকের আবার যুক্তি, ‘‘এখানে বেশি কড়াকড়ি করলে সাধারণ মানুষকে ঢুকতে গিয়ে নাকানিচোবানি খেতে হবে।’’
প্রশ্ন উঠেছে, দেবাঞ্জনের মতো কেউ যদি ফের ভুয়ো পরিচয়পত্র তৈরি করে পুরভবনে ঢোকে, তা হলে রক্ষীরা তাকে ধরতে পারবেন তো? এক শীর্ষ আধিকারিকের কথায়, ‘‘যতটা পারব, সচেতন থাকব। ভুয়ো পরিচয়ে ঢুকে কেউ কোনও অসাধু কাজ করতে এলে ধরা পড়বেই।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy