পাইলটের সঙ্গে বিমানসেবিকার প্রাথমিক সম্পর্ক এবং তা থেকে ঘনিষ্ঠতা নতুন কিছু নয়। কখনও-সখনও সেই ঘনিষ্ঠতা বিয়ে পর্যন্ত গড়িয়েছে। আবার কখনও বা মাঝপথে ভেঙে গিয়েছে সম্পর্ক। ঠিক যেমনটা হয়েছে গোয়ার বাসিন্দা, পাইলট ক্যাপ্টেন বিবেক মেন্ডিসের ক্ষেত্রে। শুধু তাই নয়, সম্পর্কের এই টানাপড়েনের জেরে বিবেকের আপাতত ঠিকানা হাওড়া সাব জেল। ২৮ বছরের ওই পাইলটকে আগামী ২০ মে পর্যন্ত জেলে থাকার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক।
বাঙালি যে বিমানসেবিকার সঙ্গে বিবেকের সম্পর্ক তৈরি হয়েছিল, তিনিই সম্প্রতি হাওড়া পুলিশের মহিলা থানায় অভিযোগ করেছেন যে, তাঁকে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন বিবেক। কিন্তু এখন ওই তরুণ জানিয়ে দিয়েছেন, তিনি বিয়ে করবেন না।
বিবেক একটি বিমান সংস্থার এয়ারবাস ৩২০-র কম্যান্ডার পাইলট। বছর পাঁচেক আগে তিনি ওই সংস্থায় যোগ দেন। তরুণীও চার বছর আগে ওই সংস্থায় বিমানসেবিকা হিসেবে যোগ দেন। মাঝআকাশে তাঁদের আলাপ। তা থেকে ঘনিষ্ঠতা। আদতে গোয়ার বাসিন্দা হলেও বিবেক মুম্বইয়ে থাকতেন। মাঝেমধ্যে থাকতেন নিউ টাউনে বিমান সংস্থার দেওয়া ফ্ল্যাটে, কখনও বাইপাসের একটি হোটেলে। তরুণীর অভিযোগ, বাইপাসের ধারে ওই হোটেলে তিনি বহু বার বিবেকের সঙ্গে থেকেছেন। তাঁরা বেশ কয়েক বার এক সঙ্গে থেকেছেন নিউ টাউনে ও মুম্বই-সহ দেশের অন্য শহরে।
এর মধ্যে অভিযোগকারিণী চাকরি নিয়েছেন অন্য একটি বিমান সংস্থায়। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, সংস্থা বদল করায় তাঁর সঙ্গে বিবেকের যোগাযোগও বর্তমানে তেমন ছিল না। অভিযোগ, তাঁকে বিয়ে করবেন না বলে সম্প্রতি বিবেক তাঁকে সাফ জানিয়ে দেন। এর পরেই ওই তরুণী হাওড়ার মহিলা পুলিশ থানায় অভিযোগ দায়ের করেন।
শনিবার রাতে জয়পুর থেকে যাত্রীদের নিয়ে কলকাতায় নামেন বিবেক। তিনি যে কলকাতায় আসছেন, সে খবর আগে থেকেই ছিল পুলিশের কাছে। বিমানবন্দরে পৌঁছে যান হাওড়া মহিলা পুলিশ ও গোয়েন্দারা। তার পরে বিবেককে কলকাতা বিমানবন্দরের বাইরে ডেকে এনে গ্রেফতার করা হয়। সংশ্লিষ্ট বিমান সংস্থার তরফে জানানো হয়েছে, এটা ওই পাইলটের ব্যক্তিগত ব্যাপার।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy