মশাবাহিত রোগ, বিশেষত ডেঙ্গির প্রাদুর্ভাব যে রাজ্য জুড়ে ছড়িয়ে পড়ছে তা দেরিতে হলেও বুঝতে পেরেছে সরকার। এর মোকাবিলায় এ বার আসরে নামলেন খোদ পুর ও নগরোন্নয়ন দফতরের সচিব ওঙ্কারসিংহ মিনা। সম্প্রতি তিনি হাওড়া, শিলিগুড়ি, আসানসোল-দুর্গাপুর সহ বিভিন্ন পুরসভায় গিয়ে মশাবাহিত রোগের প্রকোপ ঠেকাতে কী কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে, আরও কী কী করা দরকার— তা নিয়ে দফতরের অধীন কেএমডিএ, সুডা এবং বিভিন্ন উন্নয়ন পর্ষদের সিইও, বিশেষ সচিব ও যুগ্ম সচিবদের পুরসভা ভিত্তিক দায়িত্ব ভাগ করে দিয়েছেন।
এ ছাড়াও চুক্তির ভিত্তিতে ২৭ জন পতঙ্গবিদ নিয়োগ করছে পুর ও নগরোন্নয়ন দফতর। বেতন ভাতা বাবদ তাঁরা পাবেন মাসে ৪০ হাজার টাকা। এক জন পতঙ্গবিদকে চার-পাঁচটি করে পুরসভার দায়িত্ব দেওয়া হচ্ছে। নগরোন্নয়ন দফতরের এক কর্তা জানান, রাজ্যে ১২৫টি পুরসভা। ওই সব এলাকার বাড়ি বাড়ি গিয়ে পুরকর্মীরা মশার বংশ বৃদ্ধি ঠেকাতে কী কী করা প্রয়োজন, সেই প্রচার চালাবেন। কোথাও জল জমে রয়েছে কি না, তা-ও দেখবেন।
নগরোন্নয়ন দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, মশা বংশ বিস্তার করছে মূলত পুকুর এবং ছোট জলাশয়ে। তা ছাড়া, ঢাকা নর্দমা থেকেও মশার লার্ভা পাওয়া যাচ্ছে। সমস্যা হচ্ছে বাড়িতে জমে থাকা জঞ্জাল থেকেও। সেই তুলনায় খোলা নর্দমা থেকে কম মশার লার্ভা মিলেছে। ভেক্টর কন্ট্রোলের সঙ্গে যুক্ত অফিসার ও কর্মীরা যাতে এই বিষয়গুলির উপরে নজর দেন, তা নিশ্চিত করতে পুরসভাগুলিকে চিঠি দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি, পুরসভা ভিত্তিক রিপোর্ট সময়ে সময়ে যাতে নগরোন্নয়ন দফতরের অধীনে থাকা সুডা-কে নিয়মিত দেওয়া হয়, সেই নির্দেশও গিয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy